সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুতে রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে নয়া কমিটি গঠন করল রাজ্য
ডানকুনির সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর তদন্তে অ্যাপোলো হাসপাতালকে একেবারে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর তো তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেই, পুলিশও কোনওরকম রেয়াত করছে না।
কলকাতা, ৭ মার্চ : ডানকুনির সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর তদন্তে অ্যাপোলো হাসপাতালকে একেবারে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর তো তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেই, পুলিশও কোনওরকম রেয়াত করছে না। একজনের পর একজন চিকিৎসককে তলব করেই চলেছে ফুলবাগান থানায়। এদিকে রাজ্য আবার নতুন কমিটি গঠন করে ফেলল সঞ্জয়ের মৃত্যুতে দোষীদের সন্ধানে।
বর্তমান পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে অ্যাপোলো-কাণ্ডে দু-একজন চিকিৎসক যেমন গ্রেফতার হতে পারে, সেইসঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানাও হতে পারে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই তা করা হবে। সেই লক্ষ্যেই নবান্ন তিন সদস্যের নয়া কমিটি গঠন করল। সোমবারই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আর এস শুক্লা স্বয়ং নবান্নে এই রিপোর্ট জমা দেন।
রিপোর্ট জমা পড়তেই নবান্নের তরফে তৎপরতা শুরু হয়। তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে নয়া কমিটি গঠন হয়। সেই কমিটিতে থাকছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী। থাকছেন আরও দুই চিকিৎসক। তাঁরা হলেন, পিজি-র স্কুল অফ ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড লিভার ডিজিজের অধিকর্তা ডা. গোপালকৃষ্ণ ঢালি ও সিনিয়র চিকিৎসক মধুসূদন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা খতিয়ে দেখবেন ওই রিপোর্ট। এই কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, মূলত তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে। প্রথমত, চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল। দ্বিতীয়ত, ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসার কাগজপত্রে গরমিল ও কারচুপি করা হয়েছে। তৃতীয়ত, চিকিৎসায় অহেতুক দেরি করা হয়েছে। এখন তিন সদস্যের কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে প্রশাসন। তারপরই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।