টেটকাণ্ডে ধৃত জয়প্রকাশ মজুমদারের পাশে থাকার নির্দেশ পাঠালেন অমিত শাহ
‘পাশে আছি, পথে নয়।’ জয়প্রকাশ মজুমদার গ্রেফতার হওয়ার পর এই বার্তা দিয়েই দায় সেরেছিল রাজ্য বিজেপি। অমিত-নির্দেশে অবেশেষে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতারা।
কলকাতা, ১৯ জানুয়ারি : 'পাশে আছি, পথে নয়।' জয়প্রকাশ মজুমদার গ্রেফতার হওয়ার পর এই বার্তা দিয়েই দায় সেরেছিল রাজ্য বিজেপি। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। অবশেষে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বার্তা আসার পর জয়প্রকাশের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি নেতারা।
অমিত শাহের নির্দেশে বৃহস্পতিবার জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ও সম্পাদক সায়ন্তন বসু। টেট পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারের পর থেকেই দল থেকে দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছিল অভিযুক্ত জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে। এদিন বিজেপি নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করায় মানসিক স্বস্তি পেলেন জয়প্রকাশ।
বর্তমানে টেট-কাণ্ডে ধৃত জয়প্রকাশ মজুমদার তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এদিন উত্তর বিধাননগর থানায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসেন বিজেপি নেতারা। অবশ্য এর আগে বুধবার জয়প্রকাশের সঙ্গে দেখা করে যান রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি পাশে থাকার বার্তা দিয়ে যান।
জয়প্রকাশ মজুমদার গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিলেও বিজেপি রাজ্য সভাপতি এ কথাও জানিয়েছিলেন, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের দায় জয়প্রকাশেরই। এদিন দিলীপ ঘোষকে দিল্লিতে তলব করেন অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পরই সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বার্তা দেন জয়প্রকাশের পাশে থাকার।
এদিন অমিত শাহ ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের মন্তব্য নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তৃণমূলের নেতারা মোদীর বিরুদ্ধে যা মন্তব্য করেছেন এবং তৃণমূলীদের বিরুদ্ধে কটূ মন্তব্য করার জন্য যে সমস্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে, তা নিয়ে দলের অবস্থায় স্থির করা হয়। এরপরই অমিত শাহ বার্তা দেন জয়প্রকাশ মজুমদারের পাশ দাঁড়াতে।