বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের যেতেই হবে, হুঁশিয়ারি তোগাড়িয়াদের
কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর: সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে তিন কোটি লোক পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়েছে। এদের বাক্স-প্যাঁটরা নিতে ফিরে যেতেই হবে। তবে যে হিন্দুরা ধর্মীয় কারণে ওখান থেকে উৎখাত হয়েছেন, তাঁরা সসম্মানে থাকবেন। হুমকির সুরে এমন কথা বলে শোরগোল ফেলে দিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্তা প্রবীণ তোগাড়িয়া।
গতকাল শহীদ মিনার ময়দানে হিন্দুত্ব সম্মেলনে হাজির ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও আরএসএস কর্তারা। বিপুল ভিড় দেখে তাঁরা উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনে মানুষ অধৈর্য হয়ে উঠেছে, এই দাবি করেন হিন্দুত্ববাদী নেতারা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেন, "বাংলাদেশ থেকে তিন কোটি লোক সীমান্ত পেরিয়ে এই বাংলায় ঢুকে পড়েছে। তারা নাশকতার উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে। এদেরকে চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই এই কাজ শুরু করবে বলে আশা করি। তবে আমি জানি, অনেক হিন্দুকে ওখান থেকে অত্যাচার করে তাড়িয়ে দিয়েছে মুসলমানরা। তাঁরা নিশ্চিত থাকুন। আপনারা সম্মান নিয়েই এ দেশে থাকবেন।"
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন, "অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি। আর নয়। আমাদের মাতৃভূমিতে এসে বহিরাগতরা নাশকতা চালাবে, এটা চলবে না।" প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তিনি তাড়িয়েই ছাড়বেন। ক্ষমতায় এসে টাস্ক ফোর্স তৈরি করে সেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা শেষ হলেই 'পুশব্যাক' করার কাজ শুরু হবে।
সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, "যে তিন কোটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা আসলে বাংলাভাষী মুসলমান। ভারতের নাগরিক। এই ধর্মান্ধতার জন্যই পেশোয়ারের মতো ঘটনা ঘটছে।"