এয়ারব্যাগ আর সিট বেল্টেই রক্ষা অভিষেক ও তাঁর আপ্ত সহায়ক-চালকের
ত্রাতা হয়ে উঠল এয়ারব্যাগ আর সিট বেল্ট! না হলে এমন অদ্ভুত রক্ষা হয়? পিছনের সিটে বসলেও সিট বেল্ট পড়ে থাকাতেই এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
হুগলি, ১৯ অক্টোবর : ত্রাতা হয়ে উঠল এয়ারব্যাগ আর সিট বেল্ট! না হলে এমন অদ্ভুত রক্ষা হয়? পিছনের সিটে বসলেও সিট বেল্ট পড়ে থাকাতেই এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সামনের সিটে বসা সুমিত রায় ও চালকের রক্ষার পিছনে এয়ারব্যাগ রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছেন সিআইডি অফিসাররা।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে তখন একশো থেকে একশো কুড়ি কিলোমিটার গতিতে ছুটছে অভিষেকের এসইউভি। ঝাঁ চকচকে রাস্তা, ভিভিআইপি কনভয়ে এই গতি স্বাভাবিক। এসকর্ট কারের পরই ছিল অভিষেকের গাড়ি। তার পিছেন মানস ভুঁইয়ার গাড়ি। পিছনে নিরাপত্তারক্ষার গাড়ি ও হুগলি জেলা পুলিশের গাড়ি। ছুটছিল কনভয়। আচমকাই অভিষেকের গাড়িটি দুধের গাড়িতে ধাক্কা মেরে তিনবার পাল্টি খায়। সৌভাগ্যবশত রক্ষা পান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রক্ষা পেয়েছেন তাঁর আপ্ত সহায়ক সুমিত রায় ও চালকও।
চালক এবং সামনের সিটে বসা অভিষেকের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায় দুজনেরই বড় ধরনের চোট লাগতে পারত। প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল সবথেকে বেশি তাঁদেরই। তাঁরাও রক্ষা পেয়েছেন। কারণ ঠিক সময়মতো সামনের দিকের দুটি এয়ারব্যাগ খুলে গিয়েছিল। যখনই রাস্তার বাঁদিকে দাঁড়িয়ে থাকা মিল্ক ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সাংসদের গাড়ির, ধাক্কার অভিঘাতে মুহূর্তের মধ্যেই খুলে যায় চালকের স্টিয়ারিংয়ের মধ্যে থাকা এয়ারব্যাগ। চালকের পাশের আসনের ক্ষেত্রে ড্যাশবোর্ডের ভিতরে থাকা দ্বিতীয় এয়ারব্যাগটিও খুলে যায়।
ফলে রক্ষা পান সামনের সিটে বসে থাকা দুজন। পিছনের সিটে বাঁদিকে বসেছিলেন অভিষেক। সম্ভবত সিট বেল্ট বেঁধে বসেছিলেন তিনিও। তাই বড়সড় বিপদের মধ্যেও রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন তিনি ও তাঁর গাড়ির সকলেই। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসায় জন্য পরামর্শ নেওয়া হবে ম্যাক্সো ফেসিয়াল সার্জেন্টের। বিশেষভাবে তলব করা হচ্ছে তাঁকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অমিত রায় এদিন দেখেছেন অভিষেককে। তাঁর বাঁ চোখের নীচে আঘাত নিয়েই চিন্তিত চিকিৎসকরা। তাই এই পরামর্শ নেওয়ার ভাবনা।