ব্যবসায়ীর অফিস থেকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা চুরি, উদ্ধারে নেমে টাকার উৎস নিয়েই প্রশ্ন
ব্যবসায়ীর অফিস থেকে চুরি গিয়েছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। তা উদ্ধারে নেমে টাকার উৎস নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। ব্যবসায়ীর খোয়া যাওয়া টাকার ৮০ লক্ষ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর : ব্যবসায়ীর অফিস থেকে চুরি গিয়েছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। তা উদ্ধারে নেমে টাকার উৎস নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। ব্যবসায়ীর খোয়া যাওয়া টাকার ৮০ লক্ষ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই টাকার বেশিরভাগই পুরনো নোটের। তবে নতুন নোটও নেহাত কম নয়।
এখন প্রশ্ন উঠেছে এত টাকা কোথা থেকে এল। আর নতুন নোটই বা বান্ডিল বান্ডিল পেলেন কী করে ওই ব্যবসায়ী। তাই পুলিশের কাছে চুরির অভিযোগ জানিয়ে বিপাকে পড়লেন ব্যবসায়ীও। শেক্সপিয়ার সরণি থানা এলাকার ঘটনা। ক'দিন আগে ওই লোহা ব্যবসায়ীর অফিস থেকে খোয়া গিয়েছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। সেই টাকা উদ্ধারে শেক্সপিয়ার সরণি থানার দ্বারস্থ হন ব্যবসায়ী। সেইমতো পুলিশ তল্লাশিতে নামে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরপুকুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোয়া যাওয়া টাকার বেশিরভাগটাই উদ্ধার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। উদ্ধার হয় ৮০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। উদ্ধার হওয়া বেশিরভাগটাই পুরনো নোটে। নতুন নোটেরও অনেকগুলি বাণ্ডিল রয়েছে। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। পাশাপাইশ জেরা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীকে। ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশ জানতে চায়, যখন দেশজুড়ে টাকার আকাল চলছে, তখন একজন ব্যবসায়ীর কাছে কী করে এত টাকা এল। সেই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না পেলে বিপাকে পড়বেন ব্যবসায়ীও।
ইতিমধ্যেই বড়বাজারের বেশ কিছু ব্যবসায়ী এখন ইডি-র নজরে রয়েছেন। বড়বাজারের বেসরকারি ব্যাঙ্কের ডেপুটি মানেজার ও দুই ব্যাঙ্ককর্মী ধরা পড়ার পর সঞ্জয় জৈনের মতো বড় ব্যবসায়ীও এখন ইডি-র নজরে। তাঁকে জেরা করেই পাওয়া গিয়েছে আরও ব্যবসায়ীদের নাম।
এইসব ব্যবসায়ীরা কালো টাকা সাদা করছিলেন ব্যাঙ্ক অফিসিয়ালদের সহায়তায়। মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে ওই কাজ করছিলেন ব্যাঙ্কের অফিসাররা। সঞ্জয় জানান, তাঁর একার নয় ওই সাত কোটি টাকা। আরও অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাঁরা ওই টাকা সাদা করতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই ৩ দিনে ১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ওই টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল।