আরও ১০ ভুয়ো ডাক্তার সিআইডি স্ক্যানারে! সরকারি ক্ষেত্রে জাল ছড়িয়েছে, মানল কাউন্সিল
ভুয়ো চিকিৎসকের জাল বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে বিস্তৃত সরকারি ক্ষেত্রেও। বহু কাউন্সিলও জাল সার্টিফিকেট দিচ্ছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করলেন মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতি।
আরও ১০ ভুয়ো ডাক্তারের নাম উঠে এল সিআইডি স্ক্যানারে। স্টেট মেডিকেল কাউন্সিলের কাছে এই ১০ ডাক্তারের নাম পাঠানো হয়েছে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ১০ ভুয়ো ডাক্তার কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। এরই মধ্যে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি নির্মল মাজি স্বীকার করে নেন, রাজ্য ছড়িয়ে রয়েছে ভুয়ো ডাক্তারের জাল। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়ার জরুরি।
তিনি এদিন বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো তো বটেই, সরকারি হাসপাতালেও ভুয়ো ডাক্তারের জাল ছড়িয়েছে। রাজ্যজুড়ে চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যে জাল ছড়িয়েছে, তা কাটতে সকলকে একসঙ্গে সচেষ্ট হতে হবে। সেইজন্য সন্দেহ হলেই অভিযোগ জানাতে বলেন মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতি। তিনি বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন সাত-আটটি কাউন্সিল রয়েছে, যারা ভুয়ো সার্টিফিকেট দিচ্ছে। এইট পাস, টেন পাসকে ডাক্তার বানাচ্ছে। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রতিদিনই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে একজন না একজন ভুয়ো ডাক্তার ধরা পড়ছেন। এদিনও হাওড়ার বাউড়িয়া থেকে রমাশঙ্কর সেন নামে এক ভুয়ো ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। এর আগেও একাধিক ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও যে ১০ জনের নাম উঠে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করছেন তদন্তকারীরা।
এদিন নির্মলবাবু জানান, ভুয়ো ডাক্তাররা কেউই তাঁদের সরকারের আমলে নিয়োগ হননি। পূর্বতন সরকারের আমলে তাঁদের নিযোগ করা হয়েছে। তিনি জোর দিয়েই বলেন, ভুয়ো ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য আগেও তাঁরা দাবি তুলেছিলেন। তিনি বলেন, শুধু এলোপ্যাথি নয়, বহু হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ভুয়ো ডাক্তারও সরকারি ক্ষেত্রে কাজ করছেন। এইসব ভুয়ো ডাক্তারের পুলিশ মহলেও যোগাযোগ রয়েছে বলে কাউন্সিলের তরফে বিস্ফোরক দাবি করেন নির্মলবাবু।