১৯৯৪ সালে সাংবাদিক সেজে ভারতে আসা যুবকই আজকের মাসুদ আজহার
নয়াদিল্লি, ১৪ জানুয়ারি : পাঞ্জাবের পাঠানকোটে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে উঠে এসেছে জঈশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের নাম। পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা তারই মস্তিষ্কপ্রসূত। এমনটাই উঠে এসেছে তদন্তে। তবে কে এই মাসুদ আজহার। আসুন জেনে নেওয়া যাক। [ হাঁটতে গেলে দুজন লোক লাগে, পাঁচ বছর আগেই অবসর নিয়েছেন দাউদ!]
১৯৯৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে পর্তুগিজ পাসপোর্ট সমেত ধরা পড়ে ২৬ বছরের যুবক আজহার। নিজেকে সে সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল।
সেদিক গ্রেফতারির পরেও ভারতীয় পুলিশের কোনও ধারণা ছিল না কে এই আজহার। তবে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর আধিকারিকেরা যত জেনেছেন ততই গায়ে কাঁটা দিয়েছে তাঁদের।
জানা গিয়েছে, জঙ্গি গোষ্ঠী হরকত-উল-মুজাহিদিনের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই বিশেষভাবে পাঠিয়েছিল আজহারকে। ভালো কথা বলতে পারে, মুহূর্তে সকলকে কথা দিয়ে বশ মানাতে পারে, এটাই ছিল তখন মাসুদ আজহারের ক্ষমতা।
তবে পাঁচ বছর ভারতের জেলে বন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল আজহারকে। পরে ১৯৯৯ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অপহরণ করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যায় আজহারের ভাই মহম্মদ রউফ। এই কাজে তাকে সঙ্গত দিয়েছিল আইএসআই। এর বদলে আজহারকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন বাজপেয়ী সরকার।
এরপরই পাকিস্তানে ফিরে জঈশ-ই-মহম্মদ নামে জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে মাসুদ আজহার। এবং ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে জঙ্গি হামলা জঈশেরই মস্তিষ্ক প্রসূত। তারপর থেকে আইএসআই-এর সাহায্যে পাকিস্তানে ক্রমাগত শক্তিসঞ্চয় করে গিয়েছে জঈশ ও আজহার।
আরও খবর পড়ুন এখানে :
উচ্চ শিক্ষিত ইয়াকুব মেমনের অপরাধী হয়ে ওঠার কাহিনি
জেনে নিন ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ হয়েছিল কোথায়
জেনে নিন ৯/১১-য় মার্কিন মুলুকে বীভৎস হামলার সম্পূর্ণ বিবরণ
জেনে নিন ঠিক কীভাবে ২৬/১১ মুম্বই হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা