For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

বাংলাদেশে ভ্যাট নিয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীরা মুখোমুখি কেন?

বাংলাদেশে জুলাই থেকে সব পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে আর তা নিয়ে চরম খাপ্পা ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর ডাকা এক সভায় তারা তুমুল হট্টগোল করেছেন, আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।

  • By আবুল কালাম আজাদ - বিবিসি বাংলা

বাংলাদেশে ২০১২ সালে প্রণীত ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীরা এখন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।

আগামী জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া ঐ আইন অনুযায়ী সব পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। ব্যবসায়ীরা দাবি করছে ভ্যাটের হার ৭-১০ শতাংশের মধ্যে রাখা হোক।

সম্প্রতি এক বাজেট পূর্ব পরামর্শক সভায় এ নিয়ে তুমুল হট্টগোল হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন এবং অর্থমন্ত্রীও ছেড়ে কথা বলেননি।

পুরনো ঢাকার চকবাজারের ব্যবসায়ী এফবিসিসিআই'র সাবেক পরিচালক এবং ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, "আমরা ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে পারবো না। এখন পর্যন্ত মফস্বল এরিয়াতে ভ্যাট বুঝেই না। আমরা ১৫ পার্সেন্ট দিতে পারবো না কারণ আমরা এই ১৫ পার্সেন্ট আদায় করতে পারবো না।"

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্যাকেজ পদ্ধতিতে এতদিন যেভাবে সরকারকে ভ্যাট পরিশোধ করে আসছেন সেটাই বহাল থাকুক। ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হলে অনেক পণ্যেরই দাম বাড়াতে হবে। এতেকরে কেনাবেচা কমে যাবে ।

তবে রাজস্ব বোর্ডের হিসেবে কিছু পণ্য ও সেবা বাদে ১৯৯১ সাল থেকেই দেশে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাটের প্রচলন আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূসক নীতি বিভাগের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন নতুন আইনের প্রসঙ্গে মি. হোসেন জানান।

"৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত যাদের বাৎসরিক টার্নওভার হবে তাদেরকে কোনো কর পরিশোধ করতে হবে না, একেবারে তারা কর আওতার বাইরে থাকবে। যাদের ৩০ লাখ এক টাকা থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি তাদেরকে ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর দিতে হবে। তবে মৌলিক খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত ছাড়া সবক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কার্যকর হবে।"

নতুন ভ্যাট আইন প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন বাংলাদেশের বাজারের বাস্তবতায় নতুন আইন বাস্তবায়ন কঠিন হবে।

"যদি প্রপার অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে-তো এটা নির্ধারণ করা মুশকিল। কেননা ভ্যাট হলো অ্যাকাউন্টস বেইজড সিস্টেম। আমাদের দেশেতো অনেক দোকানপাটেও কোনো ইসিআর বা ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার নাই। ভোক্তা যারা তারাও রিসিট চায়না দোকানদারেরাও রিসিট দেয় না। কাজেই এটা বাস্তবায়ন করাটা কঠিন।"

রাজস্ব বোর্ডের হিসেবে বাংলাদেশে নিবন্ধিত ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৩২ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বছর শেষে যথাযথ হিসাবপত্র দাখিল করছে। অর্থনীতিবিদরাও বলছেন সব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করতে পারলে রাজস্ব আয় অনেক বাড়বে।

মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, "সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজস্ব আহরণ। সেই রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর জন্য করের জালটা বাড়াতে হবে। অর্থাৎ যেসমস্ত নিবন্ধিত ব্যবসায়ী আছে যাদের দেয়ার কথা তারা যাতে ভ্যাট দেয়।"

ভ্যাটের হার নির্ধারণ নিয়ে মি. ইসলামের মতামত হলো, "থাইল্যান্ডের মাথাপিছু আয় আমাদের চেয়ে বেশি, সিঙ্গাপুরেও অনেক বেশি তাদেরও (ভ্যাট) আমাদের চেয়ে অনেক কম আছে। কাজেই ১০ পার্সেন্ট ম্যাক্সিমাম হতে পারে।"

নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হলে বেশকিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভোক্তা সংগঠন ক্যাবের উপদেষ্টা গোলাম রহমান বলেন, "আমাদের উদ্বেগ ভোক্তাদের জীবন যাত্রার ব্যয় যাতে বৃদ্ধি না পায়। যদি ১৫ শতাংশ হারে যদি ভ্যাট সব পণ্য বা সেবার ওপরে আরোপ করা হয় তাহলে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে যাবে।"

English summary
what happens in Bangaldesh regarding vat ?government and businessman are going seat for a meeting.
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X