For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে আগ্নেয়গিরিতে প্রকৃতির খেলা

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপের কিলাওয়েয়া আগ্নেয়গিরিতে বড় ধরনের বিস্ফোরণের পর গনগনে লাভার নানা ধরনের রোমাঞ্চকর যে সব ছবি প্রকাশিত হয়েছে তা দেখে প্রকৃতি যে কতটা শক্তিশালী সেটি আবারো স্মরণ করবেন আপন

  • By Bbc Bengali

মে মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি কিলাওয়েয়া হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে ওঠে।

জ্বালামুখ থেকে উদগীরন হতে থাকে টগবগ করে ফুটতে থাকা লাভা, ছাই, ধোয়ার কুণ্ডলী আর গ্যাস।

দু সপ্তাহ পর এখনো অগ্ন্যূৎপাত। এই আগ্নেয়গিরির নাটকীয় কিছু ছবি এর পর থেকে বিস্ময় তৈরি করেছে অনেকের মধ্যে।

আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ তামসিন মাথার ও ডেভিড পাইল আগ্নেয়গিরির নাটকীয় এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করেন। চলুন যেনে নেয়া যাক।

গ্যাস বের হওয়ার নতুন মুখ তৈরি হতে থাকে।
Getty Images
গ্যাস বের হওয়ার নতুন মুখ তৈরি হতে থাকে।

সৃষ্টি আর ধ্বংস

হাওয়াই দ্বীপের সবচাইতে শক্তিশালী আগ্নেয়গিরি হল এই কিলাওয়েয়া।

১৯৮৩ সাল থেকে এর পূর্ব অংশ থেকে সারাক্ষণই লাভা বের হয়।

সেই লাভার ঝরনা আর তার স্রোতে ১৪৪ স্কয়ার কিলোমিটার এলাকা চাপা পড়ে গেছে।

প্রায় সাড়ে ১৪ কিলোমিটার রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু আগ্নেয়গিরিটির কারণে দ্বীপের সাথে নতুন জমিও তৈরি হয়েছে।

বন্যার পানির মতো এগুচ্ছে গনগনে সেই লাভার স্রোত।
Reuters
বন্যার পানির মতো এগুচ্ছে গনগনে সেই লাভার স্রোত।

জ্বালামুখ ও লাভা লেক

২০০৮ সালে গ্যাস বের হওয়ার নতুন মুখ তৈরি হতে থাকে।

কয়েক বছর ধরে আস্তে আস্তে আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখে রীতিমতো লাভার লেক তৈরি হয়ে গেছে।

এ বছরের মার্চ ও এপ্রিলে বন্যার পানির মতো গনগনে সেই লাভার উচ্চতা বাড়তে থাকে।

আবার কয়েক সপ্তাহ পর আবার তা নেমে যায়।

দু সপ্তাহ পর এখনো অগ্ন্যূৎপাত হচ্ছে।
Getty Images
দু সপ্তাহ পর এখনো অগ্ন্যূৎপাত হচ্ছে।

লাভার স্রোত

কিলাওয়েয়ার লাভাকে বলা হয় বিশ্বের সবচাইতে গরম। জ্বালামুখের আশপাশে রয়েছে নালার মতো।

সেগুলো থেকে ধীরে ধীরে যখন লাভার স্রোত নামতে থাকে তার উপরের অংশে আস্তরণ তৈরি হয়।

কিন্তু নিচের দিকে ঠিকই চলে লাল গনগনে লাভার স্রোত।

একই সাথে আস্তে আস্তে স্তর পরে যাওয়া কালো শুকনো লাভা সামনে এগুতে থাকে।

মনে হয় যেন সিমেন্টের ব্লক কিন্তু অনেক বেশি কালো তার রঙ।

তার নিচে ধ্বংস হতে থাকে জমি। কখনো স্তর ভেঙে বেরিয়ে আসে নতুন সরু ধারা।

আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ

ভূতাত্ত্বিকরা ১৯৯২ সাল থেকে কিলাওয়েয়া আগ্নেয়গিরির উপর নজর রাখছেন।

কিভাবে পৃথিবীর মাটির আবরণের নিচে এর কার্যক্রম চলে সে সম্পর্কে তাদের বেশ ধারনা হয়েছে।

শুকিয়ে যাওয়া লাভা এগুচ্ছে রাস্তার ওপর দিয়ে।
Reuters
শুকিয়ে যাওয়া লাভা এগুচ্ছে রাস্তার ওপর দিয়ে।

তাদের মতে উদগীরনের ধাপে ধাপে ভূপৃষ্ঠে নতুন ফাটল দেখা দেয়।

এর কোনটা দিয়ে গরম গ্যাস বের হয়। আবার কোথাও থেকে জ্বলন্ত লাভা।

আস্তে আস্তে লাভা লেকে লাভার উচ্চতা কমতে থাকে এবং তা ভূপৃষ্ঠের পানির স্তরে নেমে যায়।

এসময় বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভূপৃষ্ঠের পানির সাথে মিশে গেলে ধোয়ার বিস্ফোরণ ঘটে।

এতে তৈরি হওয়া গ্যাসে থাকে সালফার ডাই-অক্সাইড।

যা বাতাসের মান নষ্ট করে দেয়। তার ফলে শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ে।

আগ্নেয়গিরি নিয়ে বহু গবেষণা হলেও এর অনেক আচরণ এখনো সঠিকভাবে পূর্বাভাস দেয়া যায়না।

আগ্নেয়গিরি থেকে তৈরি হওয়া গ্যাস বাতাসের মান নষ্ট করে দেয়।
Getty Images
আগ্নেয়গিরি থেকে তৈরি হওয়া গ্যাস বাতাসের মান নষ্ট করে দেয়।

English summary
Volcanic nature game of Hawaii in USA
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X