আগামী দিনে আপনার চিকিৎসার ভার থাকবে রোবটের হাতেই!
আপনাকে আর জেনারেল ফিজিশিয়ানের কাছে যেতে হবে না। আপনার চিকিৎসার যাবতীয় ভার হাতে তুলে নেবে রোবটই।
অদূর ভবিষ্যতে আর আপনাকে জেনারেল ফিজিশিয়ানের কাছে যেতে হবে না। আপনার চিকিৎসার যাবতীয় ভার হাতে তুলে নেবে রোবটই। রোগ নির্ধারণ থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ একজন দক্ষ চিকিৎসকের মতোই রোবটকে দিয়ে করিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় এমন তথ্যই সামনে উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, ২০৫৩ সালের মধ্যে মানুষের চেয়ে মেশিন শল্য চিকিৎসায় বেশি কার্যকর ভূমিকা নেবে।
আর এই সবই সম্ভব হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে। এবং ইতিমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কারিকুরি দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। নানা ধরনের রোগ ও সমস্যার সমাধানে চিকিৎসকেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু করে দিয়েছেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে অবসাদের মতো মানসিক সমস্যাকে খুঁজে বের করা যাচ্ছে, এবং তার সমাধান করা যাচ্ছে। হার্ভার্ড ও ভার্মোন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখে কেউ অবসাদগ্রস্ত কিনা তা খুঁজে বের করছেন।
শুধু তাই নয়, এখন বিশ্ব জুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা চলছে জোরকদমে। মার্কিন গবেষকরা কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে এআই ব্যবহার করছেন এবং তাতে ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এআই ব্যবহার করে চিকিৎসকদের থেকেও ভালো ও নিখুঁতভাবে হৃদরোগের ভবিষ্যদ্বাণী করছেন।
স্যোশাল নেটওয়ার্কিং বা ইন্টারনেট ব্যবস্থায়ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে নানা উপকারী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গুগল যেমন এআই-এর সাহায্যে ব্রেস্ট ও অন্য ধরনেরক ক্যানসার যাতে না ছড়ায় ও তা নির্ধারণ করা যায়, তা নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে ফেসবুকের মতো সংস্থা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক পোস্ট দেখে আত্মহত্যা রোধ করার চেষ্টা করছে। ফেসবুক পোস্ট দেখে কারও মানসিক সাহায্য প্রয়োজন কিনা সেটাও নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে আগামিদিনে মানুষ চিকিৎসক নয়, রোবটই থাকবে আপনার চিকিৎসার দায়িত্বে।