মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানো বন্দুকবাজ ওমর মতিনের পরিচয় কী?
ফ্লোরিডা, ১৩ জুন : ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় এক সমকামী নাইটক্লাবে হামলা চালিয়ে অন্তত ৫০ জনকে হত্যা করেছে এক আফগান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। নাম ওমর মতিন। নিউ ইয়র্কে জন্মালেও সে ফ্লোরিডার বাসিন্দা ছিল। কয়েকদিন আগে সে রাইফেল ও অটোমেটিক গান কেনে। তাই দিয়ে গুলি চালিয়ে সে এই হত্যালীলা ঘটিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ৫০, ঘটনায় আইএস যোগ
তবে কে এই ওমন মতিন? সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সে কি জঙ্গি সংগঠন আইএসের সদস্য? এফবিআই অন্তত তেমনই দাবি করেছে বলে জানা গিয়েছে। ২৯ বছর বয়সী ওমর মীর সিদ্দিকি মতিনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। হত্যালীলা চালানোর আগে সে পুলিশে ফোন করে নিজেকে আইএসের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছিল।
এফবিআইয়ের অরল্যান্ডো প্রদেশের প্রধান রন হুপার জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে তাঁরা প্রথম মতিনের কথা জানতে পারেন। জঙ্গি যোগ নিয়ে নিজের সতীর্থদের নানা কথা বলেছিল সে। এরপরে মতিনকে দু'বার ডেকে জেরা করা হয়।
এর পাশাপাশি মতিনের উপরে নজরদারি চালানো ও অন্যান্য নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হয়েছিল। ২০১৪ সালে আত্মঘাতী জঙ্গি মোনের মহম্মদ আবুসালহার সঙ্গে যোগাযোগের দায়ে ফের একবার মতিনকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। তবে কোনওবারই গ্রেফতার করার মতো কোনও প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে আসেনি। ফলে তদন্ত থামিয়ে দিতে হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, অরল্যান্ডোতেই নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত ওমর মতিন। সেই সূত্রেই সে গুলি চালনা শিখেছিল। আর তার ফলস্বরূপ এতজন নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হল। ২০০৭ সাল থেকে সে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছিল।
এই ঘটনার পরে আইএসআইএসের তরফে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়েছে। ওমর মতিনকে আইএসের সদস্য বলেও স্যোশাল সাইটে জানানো হয়েছে। তবে এই হামলার বিষয়ে আইএস নেত্ব জানত কিনা সেটা স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে ওমর মতিনের বাবা সিদ্দিকি মতিন জানিয়েছেন, তার ছেলের জঙ্গিযোগ ছিল না। সমকামীদের প্রতি বিদ্বেষ থেকেই সে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে ওমরের স্ত্রীর দাবি, ধর্ম নিয়ে সে বাড়াবাড়ি করত না। তবে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করত। এখন দেখার, মতিন কেন এমন হত্যালীলা চালিয়েছে, তা গোয়েন্দারা খুঁজে বের করতে পারেন কিনা।