ট্রাম্প আতঙ্ক, ৫০০ মাইল দু'দুবার পেরিয়েও মার্কিন ভিসা পেল না আফগান কিশোরীরা
আফগানিস্তানের বিজ্ঞানমনস্ক এই ৬ কিশোরির আদম্য উৎসাহকে এপর্যন্ত কেউ আটকাতে পারেনি। তবে, শেষমেশ তাদের সব চেষ্টায় জল ঢালল আন্তর্জাতিক রাজনীতি।
রোবোটিকসের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সহজে সবসময় পাওয়া যায়না। আর সূদূর আফগানিস্তানে তো এসব সচরাচর ভাবাও যায়না। কিন্তু বহু প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে আফগানিস্তানের ৬ কিশোরী সমস্ত কিছু জোগাড় করে ফেলেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত হতে চলা আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়া।
প্রতিযোগীতার জন্য তারা 'বল সর্টিং রোবোট' তৈরি করেছিল। যআ তৈরি করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমেরিকা থেকে আনবার ব্যবস্থাও করেছিল তারা। তবে শেষমেশ তা না পেয়ে , আশপাশের ফেলনা জিনিস দিয়েই তৈরি করে ফেলে রোবোট। আফগানিস্তানের বিজ্ঞানমনস্ক এই ৬ কিশোরির আদম্য উৎসাহকে এপর্যন্ত কেউ আটকাতে পারেনি। তবে, শেষমেশ তাদের সব চেষ্টায় জল ঢালল আন্তর্জাতিক রাজনীতি।
বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে, মার্কিন ভিসার জন্য বেশ কয়েকবার আবেদন করে তারা। কাবুলে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বার বার মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে আবেদনও জানায় তারা। হেরাত থেকে ৫০০ মাইল রাস্তা পেরিয়ে কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে যেতে হত তাদের। যে দূতাবাস ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে। তবুও তাদের মার্কিন ভিসার আবেদন খারিজ হয়ে যায় বার বার। ৬ জন কিশোরীর অন্যতম ১৪ বছরের ফতেমার দাবি, "সারা বিশ্বকে আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম আমরা কী করতে পারি,আমাদের একটা সুযোগ দরকার ছিল।"
তবে মার্কিন প্রশাসনের তরফে এখনও এবিষয়ে কিছু মুখ না খোলা হলেও, প্রাক্তন কংগ্রেস কর্মী জো স্টেকস বিষয়টি নিয়ে খুবই বিরক্ত। আফগানিস্তানের এই ৬ কিশোরী প্রতিযোগীতায় সশরীরে এসে যোগ না দিয়ে, স্কাইপে নিজেদের কাজ তুলে ধরবে, এই বিষয়টিকে তিনি মেনে নিতে পারছএন না। এদিকে, গোটা বিষয়টিতে প্রচন্ড হতাশ ও মনক্ষু্ন্ন ফতেমারা।