তুরস্কে বিয়েবাড়িতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে ১২ বছরের কিশোর আইএস জঙ্গি!
আঙ্কারা, ২২ অগাস্ট : তুরস্কের একটি বিয়েবাড়িতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। শনিবার সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরে এই ঘটনাটি ঘটে। রাত ১১টা নাগাদ বিয়েবাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। [এই শিশুটির রক্তাক্ত মুখই সাক্ষী কীভাবে সিরিয়ায় চলছে সন্ত্রাসের রাজত্ব!]
সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে গতমাস থেকেই খবরে রয়েছে তুরস্ক। রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের সরকার ফেলে দিয়ে বিক্ষুব্ধ সেনাদের একাংশ বিক্ষোভ জানাতে পথে নেমেছিল। যদিও তা সফল হয়নি। [২০১৬-য় জঙ্গি হামলায় কতবার রক্তাক্ত হয়েছে ইউরোপ, দেখে নিন টাইমলাইন]
তবে শনিবার যা ঘটেছে তা যথেষ্ট ভয়ানক বলেই মনে করা হচ্ছে। আগেই সরকারি তরফে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে হামলার পিছনে সম্ভবত আইএস জঙ্গিদেরই হাত রয়েছে। সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এবং রাষ্ট্রপতি এরদোগান আরও ভয়াবহ তথ্য সামনে এনেছেন। [বারবার কেন ফ্রান্সকেই নিশানা বানাচ্ছে জঙ্গিরা? কী কারণ?]
এরদোগান জানিয়েছেন, কুর্দিসদের আয়োজিত বিয়েবাড়িতে ১২-১৪ বছর বয়সী এক কিশোর জঙ্গিকে দিয়ে হামলা চালিয়েছে আইএসআইএস। গাজিয়ানটেপ সিরিয়া সীমান্তের একদম কাছে একটি এলাকা। এখানে ক্রমেই আইএস শক্ত ঘাঁটি তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি। [মার্কিন বিমান হামলায় নিহত আইএস প্রধান আল বাগদাদি!]
শনিবার রাতে বিয়েবাড়িতে আসা অতিথিরা রাস্তায় নেমে নাচার সময়েই তাদের টার্গেট করা হয়। এরদোগানের দাবি, আইএস জঙ্গি, তুরস্কের কুর্দিস জঙ্গি ও ফতুল্লা গুলেনের (এই ব্যক্তিকেই গতমাসের সেনা অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী করেছেন এরদোগান) অনুগামীদের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। দেশকে অশান্ত করে তুলতে এরা সকলেই একপথে চলছে।