রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসেই একঘরে হয়ে পড়বেন ট্রাম্প, কীভাবে? জেনে নিন মজার তথ্য
প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট থেকে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে চলা ট্রাম্প নয়া ভাবনায় পড়েছেন। তিনি একবার রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিয়ে ফেললে তাঁকে নিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি জমা রেখে হোয়াইট হাউসে ঢুকতে হবে।
ওয়াশিংটন, ২০ নভেম্বর : হেরে গেলে এই ভয় তাঁর থাকত না। যত সমস্যা হল শেষে কিনা নির্বাচনে জিতেই! রাষ্ট্রপতির গদিতে বসতে চলা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনকে অপ্রত্যাশিতভাবে হারিয়ে ৪৫তম রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসতে চলেছেন। [রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের বার্ষিক মাইনে হবে মাত্র ১ ডলার!]
প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট থেকে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে চলা ট্রাম্প নয়া ভাবনায় পড়েছেন। তিনি একবার রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিয়ে ফেললে তাঁকে নিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি জমা রেখে হোয়াইট হাউসে ঢুকতে হবে। যা কোনওভাবেই চান না ট্রাম্প। [মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে প্রথমবার বক্তৃতায় যা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প]
নিউ ইয়র্ক টাইমস সূত্রে খবর, ট্রাম্পের আশঙ্কা, একবার হোয়াইট হাউসে ঢোকার পরই ফোন ছাড়া একঘরে হয়ে পড়বেন তিনি। নিজের বন্ধু, আত্মীয় ও পরামর্শদাতাদের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন হবে তাঁর। [রিপাবলিকানদের হয়ে লড়ে কারা মার্কিন রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসেছেন?]
এর আগে হিলারি ক্লিন্টন নিজের প্রাইভেট ইমেল ব্যবহার করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। যা তাঁর পরাজয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে ট্রাম্প নিজে খুব একটা কম্পিউটারে স্বচ্ছন্দ নন। তিনি শেষবার ২০০৭ সালে ইমেল ব্যবহার করেছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। [শেষ চারটি মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল]
যদিও মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইতিমধ্যেই গভীর চিন্তায় পড়েছেন ট্রাম্প। সূত্রের খবর, তিনি একটি পরিচিত কোম্পানির অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করেন। তার ব্যবহার সম্ভবত বন্ধ করতে হবে। এছাড়া যে টুইটার হ্যান্ডলটি তিনি নিজের নামে ব্যবহার করেন তা আগামিদিনে করতে পারবেন না।
রাষ্ট্রপতির জন্য তৈরি করা বিশেষ টুইটার অ্যাকাউন্টই তাঁকে ব্যবহার করতে হবে। যা আগে ব্যবহার করেছেন বারাক ওবামা। যদিও তাতে পুরনো সমস্ত টুইট মুছে দেওয়া হবে।