সিলেটের আতিয়া ভবনে আটকে থাকা ৩০ ঘণ্টা
সিলেটের আতিয়া ভবনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় আটকে পরেন ঐ ভবনের বাসিন্দারা। প্রায় ৩০ ঘণ্টা আটকে থাকার পর উদ্ধার পাওয়া বিশ্বজিত কুমার দে বিবিসি বাংলার কাছে বর্ণনা করেছেন তাঁর অভিজ্ঞতা।
সিলেটের আতিয়া ভবনে প্রায় ৩০ ঘণ্টা আটকে থাকার পর উদ্ধার পাওয়া বিশ্বজিত কুমার দে বিবিসি বাংলার কাছে বর্ণনা করেছেন তাঁর অভিজ্ঞতা।
তিনি বলছেন আতিয়া ভবনের দুই তলার একটা ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থাকতেন। শুক্রবার ভোরের দিকে প্রচণ্ড শব্দ তাদের ঘুম ভাঙ্গে।
এরপর একবার বাইরে বের হয়ে এলে চারদিকে ধোয়া দেখে ভয়ে আবার ঘরে ফিরে যান। কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না তারা।
মি. দে বলছিলেন এই সময় হ্যান্ড মাইকে পুলিশের কথা শুনতে পান। তিনি বলছিলেন "আমাদের নীচতলায় থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পন করার আহ্বান জানাচ্ছিলেন, এরপর আমরা বাসার দরজা-জানলা বন্ধ করে প্রায় ৩০ ঘণ্টা বসে ছিলাম"।
"ভয়ে আতঙ্কে গেছে প্রতিটা ঘণ্টা। এরপর শনিবার সকালে শুনলাম আর্মি আসছে" বলছিলেন তিনি।
আতিয়া ভবনের দুই তলা থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত প্রায় ২৮ টি পরিবারকে উদ্ধারের কাজ শুরু হয় শনিবার সকালে।
কিন্তু নীচ তলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান থাকায় সহজ পথে সিড়ি বেয়ে তাদের বের করা নিরাপদ ছিল না। তাহলে কিভাবে বের হলেন এতগুলো মানুষ?
মি. দে বলছিলেন মই তৈরি করে আতিয়া ভবনের পাশে থাকা আরেকটি ভবনের সাথে যুক্ত করা হয়। তারপর এই মই দিয়ে এক এক করে সবায়কে পাশের ভবনের সরিয়ে ফেলা হয়।
প্রতিটি তলায় ছয়টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি বলছিলেন নীচ তলায় একটি ফ্ল্যাটে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা রয়েছেন বলে তাদের ধারণা।
তাদের পাশের ফ্ল্যাটের মানুষদের গ্রিল ভেঙ্গে সরিয়ে ফেলা হয় বলে জানাচ্ছিলেন তিনি।
"সব জিনিস-পত্র বাসায় ফেলে কোন মতে বেঁচে আসছি" বলছিলেন তিনি।
নীচ তলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা ডিসেম্বরের/জানুয়ারির দিকে বাসাটি ভাড়া নেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
তবে সেখানে কারা থাকেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য তাঁর জানা নেই।