লাদাখে ভারতীয় ও চিনা সেনার খণ্ড যুদ্ধ, চিনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল
লাদাখে ফের চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল ভারতীয় সেনা। প্যাঙ্গং হ্রদ লাগোয়া এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশে বাধা পেয়ে ভারতীয় ফৌজের দিকে ইটবৃষ্টি করে চিনা জওয়ানরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনীও।
লাদাখে ফের চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল ভারতীয় সেনা। লাদাখের বিখ্য়াত প্যাঙ্গং হ্রদ লাগোয়া এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশে বাধা পেয়ে ভারতীয় ফৌজের দিকে ইটবৃষ্টি করে চিনা জওয়ানরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনীও। ঘটনায় দুপক্ষের বেশ কয়েকজন জওয়ান আহত হয়েছেন ।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে প্যাঙ্গং হৃদ লাগোয়া দুটি অঞ্চল, ফিঙ্গার ফোর ও ফিঙ্গার ফাইভ দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে দুবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পিপলস লিবারেশন আর্মি জওয়ানরা। প্রথমবার ভোর ৬টা এবং পরের বার সকাল ৯টা নাগাদ এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়। দুবার এই দুজায়গাতেই চিনা সেনার আগ্রাসন রুখে দেয় সতর্ক ভারতীয় জওয়ানরা।
চিনা সেনা এগোতেই, ভারতীয় জওয়ানরা তাদের সামনে মানবপ্রাচীর গড়ে তোলেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ক্ষিপ্ত চিনা বাহিনী ভারতীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি করে। পাল্টা পাথর ছোঁড়ে ভারতও।
সূত্রের
খবর,
বেশ
কিছুক্ষণ
এই
পরিস্থিতি
চলার
পর
তা
বেশি
জটিল
হওয়ার
আগে
দুপক্ষই
নিয়মমাফিক
ব্যানার
ড্রিল
করে
নিজ
নিজ
জায়গায়
ফিরে
যায়।
নয়াদিল্লিতে
সেনার
মুখপাত্র
এই
ঘটনা
নিয়ে
মুখ
খুলতে
রাজি
হননি।
চিনা সেনা ফিঙ্গার ফোর এরিয়া পর্যন্ত এগিয়ে এসেছিল বলে সূত্রের খবর। এই জায়গার দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। কেননা উভয় দেশই এই অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।
নয়ের দশকের শেষের দিকে দুপক্ষের আলোচনার সময় ভারত এই জায়গার আধিপত্য দাবি করলে, চিন পাল্টা জানায়, এটি আকসাই চিনের অংশ। নিজেদের দখল প্রমাণ করতে এই এলাকায় ফিঙ্গার ফোর পর্যন্ত একটি পাকা রাস্তাও তৈরি করে ফেলে চিন। এই ফিঙ্গার ফোর এলাকাটি লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল-এর পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে অর্থাৎ ভারতের দিকে সিরি জাপ অঞ্চল-এ অবস্থিত।
এর আগে, প্যাঙ্গং হৃদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে চিনা পেট্রলিং চলত। এই হৃদের ৯০ কিলোমিটার এলাকা পড়ছে চিনে দিকে আর ৪৫ কিলোমিটার এলাকা পড়ছে ভারতের দিকে।
এই মুহুর্তে ভারতীয় বাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা অত্যাধুনিক ইন্টারসেপ্টর বোট নিয়ে নজরদারি চালায়। দ্রুতগতিসম্পন্ন বোটগুলিতে ১৫ জন করে জওয়ান থাকেন। বোটে রয়েছে অত্যাধুনিক রেডার, ইনফ্রা-রেড ও জিপিএস সিস্টেম।
ডোকলাম নিয়ে দুদেশেরে টানা পোড়েনের মধ্যে লাদাখের এই ঘটনা দুপক্ষের মধ্য়ে উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা বিশারদরা।