ব্যাটারিই দায়ি গ্যালাক্সি নোট ৭ -এ আগুন লাগার জন্য, মানছে স্যামসং
স্যামসং এর গ্যালাক্সি নোট ৭- এ আগুন লাগার কারণ হিসাবে দায়ি করা হল মোবাইলের ব্যাটারিকে। একথা স্যামসং এর তরফে জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে তাদের অর্ন্ততদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সিওল, ২৩ জানুয়ারি : স্যামসং এর গ্যালাক্সি নোট ৭- এ আগুন লাগার কারণ হিসাবে দায়ি করা হল মোবাইলের ব্যাটারিকে। একথা স্যামসং এর তরফে আজ জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে তাদের অর্ন্ততদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে। স্যামসং কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গোটা ঘটনায় তারা দায় স্বীকার করে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের ফোন তৈরি পদ্ধতি ও ব্যাটারিই দায়ি। পাশপাশি তারা এও জানিয়েছে যে আসন্ন এস৮ মডেল সমেত সংস্থার কোনও আগামীদিনের কোনও মোবাইলের মডেলেই এই ঘটনা ঘটবে না।[স্মার্টফোনের জন্যও এবার এসে গেল টয়লেট পেপার!]
স্যামসং জানিয়েছে , সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার নয়। শুধুমাত্র, ব্যাটারির জন্যই তৈরি হয়েছিল সমস্যা। সংস্থা তাদের বিশেষ তদন্তে জানতে পেরেছে, যে ফোনের মডেল তৈরি ও তার নক্সাতে গলদ ছিল । যার জন্য তা ক্ষতি করে ফোনের ব্যাটারিকে। জানা গিয়েছে, সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু হল ব্যাটারির অপর্যাপ্ত উপাদান। তার পাশাপাশি ছিল মডেলের নক্সাগত সমস্যা, যার ফলে ভালোভাবে জায়গা করতে পারেনি ব্যাটারির 'ইলেকট্রোড'।[(ছবি) এই ১০ অ্যাপ আপনার স্মার্টফোনে থাকাটা অত্যন্ত প্রয়োজন!]
এর আগে স্যামসং জানিয়েছিল তারা গ্যালাক্সি নোট ৭ -এ আগুন লাগবার কারণ ঘোষণা করবে, ২৩ শে জানুয়ারি । সেই মত তারা নিজেদের সংস্থাগত তদন্তের পর এই তথ্য প্রকাশ করে। স্যামসং গ্যালাক্সি নোট সেভেনে আগুন লাগবার ঘটনায় গত ১১ ই অক্টোবর থেকে স্যামসং ফোনের এই মডেল তৈরিই বন্ধ করে দেয়।[এই ফেব্রুয়ারিতে স্মার্টফোন কেনার কথা ভাবছেন? দেখে নিন কোন ফোনে কী ফিচার, দামই বা কত!]
গোটা ঘটনায় , স্যামসং এর ক্ষতি হয়েছে ৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা এই দক্ষিণ কোরিয়ার মোবাইল প্রস্তুকারক সংস্থাকে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের পণ্যগত জনপ্রিয়তাও।
এর আগে, স্যামসং গ্যালাক্সিতে নোট ৭ এ আগুন লাগার ঘটনার পর এই মডেল বাজারে আনাই বন্ধ করে দেয় স্যামসং। যা তারা আই ফোনের প্রতিযোগী মডেল হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছিল বাজারে। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন তৈরি সংস্থা হিসাবে গ্রাহকদের কাছে গ্রহণযোগ্য়াতাও হারায় স্যামসং। তারপর এই ধরনের ঘটনায় তাদের গ্রাহক সংখ্যাতেও কমতি দেখা যায় বলে ধারনা অর্থনৈতিক মহলের।