চিনের অভিনেত্রী হিলারিকে সমর্থন করেছিলেন? গুজব সপাটে ওড়াল চিনা সংবাদপত্র
মার্কিন দেশের কড়া আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এমন কান্ড করতে গেলে বিপদে পড়বেন চিনের মানুষই, পাল্টা যুক্তি গ্লোবাল টাইমসের
সম্প্রতি চিনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঝাও ওয়েইর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি নাকি সদ্যসমাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নাকি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের প্রচারকে সবচেয়ে বেশি অর্থসাহায্য করেছেন। ওয়েই অবশ্য সরাসরি নাকচ করেন এই অভিযোগ এবং এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেন।
ওয়েই ছাড়াও চিনের অন্যান্য কর্পোরেট সংস্থাও হিলারির পক্ষে অনুদান দেন বলে শোনা গিয়েছে। এমনকী এও বলা হয়েছে যে এবারের নির্বাচনে সৌদি আরবের পর চিনই হিলারিকে সচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল। প্রাক্তন বিদেশসচিব হিলারি অবশ্য শেষ পর্যন্ত হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ট্রাম্প আবার পরিচিত ঘোর চিনবিরোধী হিসেবে।
চিনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকাতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের মতে ওয়েই-এর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ চিনের অনেক মানুষই বিশ্বাস করেছে কারণ তারা আমেরিকার নির্বাচনী রাজনীতি সম্পর্কে অবহিত নন। তাতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে বিদেশি অনুদানের উপরে সেদেশের আইনের কড়া নজর থাকে।
আর তাছাড়া, চিন সম্পর্কে মার্কিন কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সতর্কতা এশিয়ার দেশটি থেকে আসা অনুদানকে আইনের বিশেষ নজরে রাখে। তাই একটু অন্যথা হলেই যে বা যাঁরা এই অনুদান করছেন, তাঁদের বড় বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
গ্লোবাল টাইমস-এর বক্তব্য, চিনের অভিনেত্রীর অনুদান দেওয়ার ব্যাপারটি গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। কিছু অসাধু সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা নিজেদের ব্যবসায়িক মুনাফার জন্য এই সমস্ত গুজব রটিয়ে বেড়ায় বলে জানায় প্রতিবেদনটি। ইন্টারনেট দুনিয়ায় এই প্রবণতাকে খর্ব করতে আইনকে আরও কড়া হওয়ার প্রয়োজন আছে বলেও লেখা হয় তাতে। সরকারের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জিও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ওয়েই ছাড়াও চিনা অনুদানকারীদের মধ্যে রয়েছে আলিবাবার মতো বৃহৎ ইন্টারনেট সংস্থাও। তাঁরা এব্যাপারে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল টাইমস।