ভারতকে কূটনৈতিক চাপ : এই প্রথম পাক অধীকৃত কাশ্মীরে যৌথ টহল চিন ও পাকিস্তান সেনার
নয়াদিল্লি, ২২ জুলাই : এই প্রথম পাক অধীকৃত কাশ্মীর সীমান্তে যৌথ টহলদারি চালাচ্ছে চিন ও পাকিস্তান সেনা। এই এলাকা চিনের জিনজিয়াং প্রদেশ লাগোয়া। এখান দিয়ে শতাধিক য়ুইঘুর উপজাতির লোক যারা মূলত ইসলামধর্মী, তারা পালিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছে বলে খবর। আর সেজন্যই চিনা সেনা পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে সীমান্তে দাপাদাপি করছে বলে চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
চিনের রাষ্ট্রপতি জি জিনপিং-ও চিনা মুসলিমদের চিনের সামাজির রীতি ও নির্দেশ মেনেই ধর্মীয় আচার পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই বিষয়েই সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে চিনে সরকারি সূত্র জানাচ্ছে।
চিন ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর টহলদারির বেশ কয়েকটি ছবি দেওয়া হয়েছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলিতে। তবে ছবিগুলি কবে তোলা হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
তবে অন্য মতও উঠে আসছে। সম্প্রতি লাদাখে চিন সীমান্তে সেনার টহলদারি বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। আরও বেশি করে ট্যাঙ্ক ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই পাল্টা ভারতের উপরে চাপ বাড়াতে পাকিস্তানের অধীকৃত কাশ্মীরে সেনা টহল বাড়িয়ে পরোক্ষে ভারতের উপরে চাপ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে চিন।
ঘটনা হল, এই সীমান্ত এলাকায় জিনজিয়াং থেকে পাক সীমান্ত পর্যন্ত চিন করিডোর বানাতে চাইছে। তা নিয়ে বারবার বাধা দিয়ে আসছে ভারত। কারণ পাক অধীকৃত কাশ্মীরে কোনওরকম বিদেশি শক্তির অনুপ্রবেশ চায় না ভারত। যা মানতে রাজি নয় চিন।
ভারতকে কার্যত উপেক্ষা করে চিনের বিনিয়োগে একাধিক প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই পাক অধীকৃত কাশ্মীরে শুরু হয়েছে। যা সুরক্ষিত রাখতেই এই সেনা টহল বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের ভারত-পাকিস্তান-চিনের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।