আইএসের অবসান! মসুল দখল করে চূড়ান্ত জয় ঘোষণা ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর
তিন বছর আগে ঐতিহাসিক আল নুরি মসজিদ দখল করে ইরাকে জঙ্গি ক্রিয়াকলাপের সূচনা করেছিল আইএস। সেই মসজিদ দখল করে নেয় ইরাকি বাহিনী। আইএস খিলাফতের অবসান ঘোষণা করে ইরাক।
আটমাস যুদ্ধের পর ইরাকে পতন হল আইএসের। সরকারিভাবে আইএস অর্থাৎ ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা করলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আলি আবাদি। রবিবার তিনি মসুলে প্রবেশ করেন। মসুলে পা রেখেই তিনি আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় ঘোষণা করেন। এই লড়াইয়ের জন্য সেনাবাহিনীকে 'স্যালুট' জানান তিনি। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য অভিনন্দন জানান ইরাকের জনগণকেও।
ইরাকের ঐতিহাসিক শহর বলে খ্যাতি রয়েছে মসুলের। সেই মসুলকে আইএসের হাতে থেকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আট মাস ধরে যুদ্ধ চলছিল। মূল প্রশাসনিক এলাকা থেকে আইএস জঙ্গিরা পিছু হটলেও পুরনো মসুল থেকে কিছুতেই হটানো যাচ্ছিল না তাদের। জুন মাস ধরেই পুরনো মসুল থেকে হটাতে প্রাণপণ যুদ্ধে নামে ইরাক। আইএস বাহিনীও বুঝে যায় এবার তাঁদের মসুল ছেড়ে পালানোর সময় এসে গিয়েছে।
শেষপর্যন্ত ইরাকের আল নুরি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বাগদাদি বাহিনী। পুরনো মসুলও দখলে আসে ইরাকের। মার্কিন সাহায্যে পরিপুষ্ট ইরাকের সেনার হাতে পরাজয়ের পর আর ইরাকে অবশিষ্ট রইল না আইএসের কোনও ঘাঁটি। তবে এখনও সিরিয়ার কিছু অংশ রয়ে গিয়েছে আইএস। সিরিয়া থেকেও তাদের হটানোর যুদ্ধ শুরু হবে এবার।
উল্লেখ্য, ইরাকবাহিনী কর্তৃক মসুল জয়ের কথা ১০ দিন আগেই প্রকাশ হয়েছিল। তবে তা সরকারিভাবে ঘোষণা হয়নি। পুরনো মসুল থেকে আইএসকে তখনও হঠাতে পারেনি ইরাকি সেনা। প্রধানমন্ত্রী এদিন মসুলে প্রবেশ করেই ইরাকি বাহিনীর জয় ঘোষণা করলেন।
তিন বছর আগে ঐতিহাসিক আল নুরি মসজিদ দখল করে ইরাকে জঙ্গি ক্রিয়াকলাপের সূচনা করেছিল আইএস। ২৯ জুন সেই মসজিদ দখল করে নেয় ইরাকি বাহিনী। তখনই আইএস খিলাফতের অবসান ঘোষণা করে ইরাক। এরপর পুরনো মসুলে ঢুকে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল আইএস। সেখান থেকেও শেষপর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় বাগদাদি-বাহিনী। অবশেষে জয় হয় ইরাকের।