পারমাণবিক যুদ্ধ হলে পাকিস্তানকে কি উচিত শিক্ষা দিতে পারবে ভারত
ভারতের থেকে পাকিস্তানের পারমাণবিক ক্ষমতা বেশি, এমনটাই প্রকাশিত হল রিপোর্টে, উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন আমেরিকা ও রাশিয়াকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। অস্ত্রের সম্ভার বাড়ানোর ইঙ্গিত রাশিয়া ও আমেরিকার।
পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যায় ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়শনের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এল। রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহূর্তে ভারতের হাতে রয়েছে ১২৫টি পারমাণবিক অস্ত্র, সেখানেই পাকিস্তানের সম্ভারে রয়েছে ১৩৫টি পারমাণবিক অস্ত্র। অবশ্য এই দুটি রাষ্ট্রই পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার না করার চুক্তিবদ্ধ নয়। ফলে আগামী দিনে যে ভারত পাকিস্তানকে টপকে যাবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া যেভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রদর্শন শুরু করেছে, তাকে ভাল চোখে দেখছে না আমেরিকা, রাশিয়া কেউই। মঙ্গলবারই হোয়াসং -ফোর্টিন নামে একটি ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং। এই মিসাইল বিশ্বের যে কোনও দেশে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি উত্তর কোরিয়ার। মঙ্গলবারের পরই মূলত আমেরিকা ও রাশিয়া নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করার কথা বলেছে। এই দুটি রাষ্ট্রই এই মুহূর্তে পারমাণবিক অস্ত্রের নিরিখে শীর্ষ স্থানে বসে রয়েছে। ফলে উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন যে ট্রাম্প ও পুতিনের চিন্তা বাড়াবে তা খুবই স্বাভাবিক। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার পরই নতুন করে নিজেদের কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্র গুনতে বসেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কার কাছে কত পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।
এই দেশগুলির মধ্য়ে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, চিন ও ব্রিটেন পারমাণবিক অস্ত্র অ-বিস্তারের চুক্তিবদ্ধ। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান সহ বাকি দেশগুলি কিন্তু চুক্তিবদ্ধ নয়। ওপরের দেওয়া হিসেবেই স্পষ্ট, উত্তর কোরিয়া যতই লম্ফ-ঝম্প করুক, পারমাণবিক অস্ত্রের নিরিখে কিম জং উনের দেশ নেহাতই শিশু বাকিদের কাছে। কিন্তু মঙ্গলবার যে ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল উত্তর কোরিয়া ছেড়েছে, তার শক্তি যথেষ্টই। দেখে নেওয়া যাক কতটা ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা রয়েছে এই মিসাইলের ।
সারা পৃথিবী মিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রায় ১৫ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে। এই পারমাণবিক অস্ত্রগুলিকে এক জায়গায় করলে তার যা শক্তি হবে তা বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ ও কয়েক শো বড় শহরকে শেষ করতে যথেষ্ট। একটি সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র আমেরিকা ও রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের মিলিত শক্তি পৃথিবীতে প্রতি মিনিট যা সৌর শক্তি এসে পৌঁছয় তার দশভাগের এক ভাগ। ইতিমধ্যেই নিজেদের পারমাণবিক শক্তি আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন পুতিন ও ট্রাম্প, সেক্ষেত্রে দুই রাষ্ট্রই চুক্তিভঙ্গ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।