আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানেই ভারতে হামলার প্রশিক্ষণ চলেছে, জেরায় কবুল লস্কর জঙ্গির
নয়াদিল্লি, ১০ অগাস্ট : পাকিস্তানে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবিরে গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানেই ভারতে জঙ্গি হামলার প্রশিক্ষণ চলেছে। কীভাবে কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গি হামলা করা হবে তার পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ হয়েছে বলে জেরায় জানাল জম্মু ও কাশ্মীরে ধৃত লস্কর জঙ্গি বাহাদুর আলি। ['শহিদ' আখ্যা দিয়ে জঙ্গি বুরহানের পোস্টারে মুড়ল পাকিস্তানের ট্রেন]
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বাহাদুর আলি জানিয়েছে, আইএসআইয়ের কিছু অফিসার সাধারণ পোশাকে লস্করের প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিল। কীভাবে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি সেটা যাচাই করতেই একেবারে শেষে এদের আনা হয়েছিল। [২০০৮ মুম্বই হামলার অন্যতম যড়যন্ত্রী জঙ্গি ধরা পড়ল পাকিস্তানে]
এনআইএর ইনস্পেক্টর জেনারেল সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, বাহাদুর আলি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক জঙ্গি। জেরায় সে জানিয়েছে, কাশ্মীর অশান্ত থাকার সুযোগে সে ভারতে ঢুকে সেনাদের খুন করেছে। গোয়েন্দারা এটাও জেনেছেন যে, ভারতে ঢোকার পর থেকে সাঙ্কেতিক ভাষায় সে তার হ্যান্ডলারদের সঙ্গে কথা বলেছে। [কাশ্মীরে বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে পাকিস্তান থেকে আসা লস্কর জঙ্গি]
মূলত বাহাদুর আলি নামে এই জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পরই সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ঢুকিয়ে ভারতে গন্ডগোল পাকানোর পাকিস্তানি প্রয়াস গোয়েন্দাদের সামনে এসেছে। সেজন্যই মঙ্গলবার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়ে পাকিস্তানকে কড়াভাবে সতর্ক করেছে ভারত। যদিও প্রতিবারের মতো এই বিষয়টি অস্বীকার করেছে নওয়াজ শরিফ সরকার। [পাঠানকোট হামলা চালিয়েছে পাক জঙ্গিরাই, এবার প্রমাণ দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও]
এনআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বাহাদুর আলির মতো জঙ্গিরা লস্করের ক্যাম্পে তিন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তাদের নিয়োগ করেছে মূলত লস্করের শাখা সংগঠন দামাত-উদ-দাওয়া। পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে অন্তত ৫০ জনকে নিয়ে এসে এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কয়েকজন আফগানিস্তান থেকে এসেও এই শিবিরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলে জানিয়েছে লস্কর জঙ্গি।
জানা গিয়েছে, পাতিস্তানের মুজফফরাবাদে এমন বহু জঙ্গি রয়েছে যাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের কাশ্মীরে পাঠিয়ে ছোট ছোট দল বানিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে ঢুকিয়ে ভিড়ের মধ্যে পুলিশ ও সেনাদের উপরে গুলি ও গ্রেনেড চালানোর কথা বলেছিল পাক জঙ্গিরা।