শান্তিরক্ষায় এগিয়ে আসুন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের পাকিস্তানের মিনতি
ইসলামাবাদ, অক্টোবর ৩ : ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরে যে পাকিস্তান যথেষ্ট চাপে রয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল গত শুক্রবার (সেপ্টেম্বর ৩০)। ওইদিন, ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যকে (পি-৫) দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিরক্ষা করার জন্যে আবেদন জানানো হয় বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানায়।
পাক বিদেশ সচিব এজাজ চৌধুরী স্থায়ী সদস্য দেশগুলির (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স এবং গ্রেট ব্রিটেন) দূতদের জানান এই অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের এক বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। গত ২৮শে সেপ্টেম্বরের রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনার অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে চৌধুরী তাঁর বক্তব্য রাখেন।
গত ১৮ই সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে চোরাগোপ্তা জঙ্গিহানায় একাধিক ভারতীয় সেনার মৃত্যু ঘটার পরে ভারতজুড়ে প্রবল ঝড় ওঠে। নানা মহল থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাতের। সেই ঘটনার দশদিন পরে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে তারা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রচুর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ অবশ্য সে দাবি মানতে রাজি হয়নি। দু'পক্ষের চাপানউতোর অব্যাহত রয়েছে সেই থেকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে পাক বিদেশ সচিবের সঙ্গে ছিলেন সে-দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস মেজর জেনারেল শাহির শামশাদ মির্জা। ভারতীয় সেনার অভিযানের বিবরণ দেন তিনিই বলে জানায় পাক সংবাদমাধ্যম।
ও পর্বে চৌধুরী ভারতকে অভিযুক্ত করেন 'যুদ্ধং দেহি' মনোভাব দেখানোর জন্যে। পাকিস্তানের মাটিতে ভারত গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে বলেও তিনি জানান পি-৫ সদস্যদের।