মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা কি এবার পাকিস্তানের ওপর পড়তে চলেছে ?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের ৭ টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের পর, এবার সম্ভবত কোপ পড়তে চলেছে পাকিস্তানের ওপর।
ওয়াশিংটন, ৩০ জানুয়ারি: সিরিয়া, ইরাক ,ইরান, লিবিয়া, সুদান সমেত বিশ্বের ৭টি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় বিশ্ব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের ৭ টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের পর, এবার সম্ভবত মার্কিনি কোপ পড়তে চলেছে পাকিস্তানের ওপর।[ইসলামি মৌলবাদী ও জঙ্গিদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়াতে নির্দেশনামায় সই ট্রাম্পের]
হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, এবার পাকিস্তানের নাগরিকদের ওপরেও জারি হতে পারে একই নিষেধাজ্ঞা । রবিবার এমনই ইঙ্গিত মিলেছে হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিকের সূত্রে। হোয়াইট হাউসের এই আধিকারিক জানিয়েছেন, মূলত এই ৭ টি দেশকে বেছে নেওয়ার নেপথ্যে মূল কারণ হল, এই ৭ টি দেশে ভয়ঙ্কর রকমের সন্ত্রাস আশ্রয় নিয়েছে। এ বিষয়ে শিলমোহর দিয়ে গিয়েছে প্রাক্তন ওবামা প্রশাসন।[ইসলামি উদ্বাস্তু বিতর্কে প্রতিবাদে উত্তাল জে এফ কেনেডি বিমানবন্দর, সমালোচনা বিশ্বজুড়ে]
এখনও প্রাথমিক তালিকায় পাকিস্তানের নাম না থাকলেও, নিষেধাজ্ঞার তলিকায় ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের নাম রাখাার কথা ভাবছে বলে দাবি সূত্রের। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিলে তাতে পাকিস্তান নিজের দেশের উন্নয়নে মন দেবে বলে জানান পাক রাজনৈতিক নেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান। এদিকে, শনিবার জারি করা এক নির্দেশিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সুদান, ইয়েমেন, সিরিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপান। তারপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় এনিয়ে শুরু হয় প্রতিবাদ।[ইসলামি মৌলবাদী ও জঙ্গিদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়াতে নির্দেশনামায় সই ট্রাম্পের]
এই প্রথমবার জনসাধারণের সামনে পাকিস্তানকে এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা প্রকাশ্যে আনল আমেরিকা। পাশাপাসি মার্কিন প্রশাসনের দাবি, বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলেও, অভিবাসন ও উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট কড়া মনোভাব রাখছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প।[চুলের ছাঁটে অদ্ভুৎ মিল, ট্রাম্পের নামেই নামকরণ নয়া পতঙ্গের]
এদিকে গতকালই ,ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে ফ্রান্স ও ব্রিটেন। পাশপাশি এই নিষেধাজ্ঞার জবাব দেয় ইরানও। মার্কিন নাগরিকদের ইরানে ঢুকতে দেওয়া হবেনা , জানায় সেদেশের সরকার। এদিকে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ায় ইজরায়েল।