"ট্রাম্পের আঙুলের ডগায় থাকবে পরমাণু বোতাম!" শঙ্কিত মার্কিন গবেষকদের সরাসরি বিরোধিতা
নিউ ইয়র্ক, ১৫ অক্টোবর : নভেম্বরের শুরুতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিতলে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের আঙুলের ডগায় চলে আসবে লালরঙা পরমাণু অস্ত্রের বোতাম। এই ঘটনা ঘটলে তা ভয়ঙ্কর হবে বলে অনেক মার্কিনিই মনে করছেন। তবে ঠিক কী বিপদ হতে পারে তা সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারছেন একজন মানুষ।
এরা আর কেউ নন, একদল প্রাক্তন মার্কিন পরমাণু গবেষক। এরা সকলেই মার্কিন এয়ারফোর্সে কাজ করতেন। একেবারে খোলা চিঠিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরমাণু বোতামে নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদ ও নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্টে।
বলা হচ্ছে, একমাত্র রাষ্ট্রপতিই পরমাণু অস্ত্র নিয়ে নির্দেশ দিতে পারেন। এই নির্দেশকে কেউ অমান্য করতে পারে না। এবং একবার মিসাইলগুলি উৎক্ষেপণ করা হয়ে গেলে সেগুলিকে ফিরিয়ে আনা যায় না।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অযৌক্তিক বা হঠকারি সিদ্ধান্ত নিলে বা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তহীনতা ধ্বংসাত্মক হতে পারে মানবজাতির জন্য। ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনওভাবেই দেশের প্রধান হতে পারেন না।
নিউক্লিয়ার কোডের দায়িত্ব ট্রাম্পের মতো ব্যক্তিত্বের হাতে কোনওভাবেই ছাড়া যেতে পারে না। ট্রাম্পের আঙুল যাতে কোনওভাবেই পরমাণু অস্ত্রের লাল বোতাম না ছোঁয় তা নিশ্চিত করতেই এই খোলা চিঠি লিখেছেন প্রাক্তন গবেষকরা।
গবেষকদের চিঠির ছত্রে ছত্রে ট্রাম্পের ত্রুটিগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, নিজের প্রচারের মাঝে বারবার ট্রাম্প বিরোধীদের তো বটেই, নিজের দলের লোকদেরও আক্রমণ করেছেন।
ট্রাম্প এমন একজন মানুষ যিনি বদমেজাজি ও অত্যন্ত সহজে প্ররোচনায় উত্তেজিত হয়ে যান। ফলে তাঁর হাতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক সজ্জার দায়িত্ব থাকবে তা কোনওভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এমনটাই বক্তব্য বিজ্ঞানীদের।
তাঁদের আরও বক্তব্য, ট্রাম্পের বিরোধিতা করলেও বিরোধী হিলারি ক্লিন্টনকে এর দ্বারা কোনও সুবিধা দেওয়ার ভাবনা তাদের নেই। শুধুমাত্র ট্রাম্পের হাতে যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না হয় সেটা ঠেকাতেই এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে।