ভারতের এনএসজি সদস্যপদ নিয়ে বিদায়ী ওবামা প্রশাসনকে কটাক্ষ চিনের
ভারতের এনএসজি সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে চিন প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছে। চিনের এই আপত্তির বিরোধিতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বারাক ওবামা প্রশাসন ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে এনএসজি সদস্যপদের সপক্ষ্যে সওয়াল করেছে
বেজিং, ১৭ জানুয়ারি : ভারতের এনএসজি সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে চিন প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছে। চিনের এই আপত্তির বিরোধিতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বারাক ওবামা প্রশাসন ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে এনএসজি সদস্যপদের সপক্ষ্যে সওয়াল করেছে।
আর এই ইস্যুতেই বিদায়ী ওবামা প্রশাসনকে একহাত নিয়েছে চিন। বেজিং বিরোধিতা করছে বলে ওবামা সরকার তাদের রাজি হতে অনুরোধ করেছিল। আর এই প্রসঙ্গে চিন কটাক্ষ করে বলেছ, এনএসজি-র সদস্যপদ কোনও বিদায়ী উপহার নয় যা ওয়াশিংটনকে আমরা তুলে দেব।
চিনের বিদেশমন্ত্রকে মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেছেন, এনএসজি সদস্যপদ কোনও বিদায়ী উপহার নয় যা এক দেশ অপর দেশের হাতে তুলে দেবে। এনপিটি বা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি নিয়ে চিনের যে অবস্থান ছিল সেখান থেকে তারা সরবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া ভারতের সদস্যপদ নিয়ে প্রথমে এনপিটিতে সই না করা দেশগুলিরও সহমত হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের বিদায়ী সহ সচিব যিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন, সেই নিশা বিসওয়াল এর আগে এনএসজিতে ভারতের সদস্যপদের বিরোধিতা করায় চিনের সমালোচনা করেন। এই প্রেক্ষিতেই বেজিং এবার বিদায়ী ওবামা প্রশাসনকে কটাক্ষ করল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ওবামা প্রশাসন মনে করেছিল সরকারে থাকতে থাকতেই ভারতকে এনএসজি সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়া যাবে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে নতুন প্রশাসন ভারতের প্রতি সহমর্মী হবে কিনা সেটা এখনই পরিষ্কার নয়।
এর পাশাপাশি পাকিস্তানি জঙ্গি মাসুদ আজহারকেও যে নিরাপত্তা পরিষদে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নেই চিন তা ফের স্পষ্ট করে দিয়েছে চিন। এখন দেখার এই দুই প্রসঙ্গেই ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ভবিষ্যতে কী হয়।