নেপালি এই জনপ্রিয় বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনী আসলে একজন পপ তারকাও বটে!
কাঠমাণ্ডু, ১৩ অক্টোবর : নেপালে অ্যানি চোয়িং দ্রোলমার নাম শোনেনি এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনী রাষ্ট্রসংঘের শুভেচ্ছা দূত। তিনি একটি মেয়েদের স্কুল চালান এবং একটি হাসপাতাল যেখানে কিডনি রোগীদের শুশ্রুষা করা হয়। [এখনই ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি, বছরে ৬ ইঞ্চি করে উচ্চতায় বাড়ছে এই কিশোর]
তবে এর বাইরেও অ্যানির অন্য পরিচয় রয়েছে। তিনি নেপালের অন্যতম জনপ্রিয় পপ তারকাও বটে। একাধারে তিনি বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনী, অন্যদিকে তিনি পপ তারকা। দুইয়ে মিলে অনন্যতার আর এক নাম অ্যানি চোয়িং দ্রোলমা। [আইএসের যৌনদাসী থেকে রাষ্ট্রসংঘের শুভেচ্ছা দূত এই মহিলা]
এর মধ্যেই নেপালি ভাষায় অ্যানির ১২টি অ্যালবাম বেরিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তিব্বতী স্তোত্রও। যার মূল কথা শান্তি ও ঐক্যের বাণী ছড়িয়ে দেওয়া। আর এই অ্যালবামগুলি নেপালে তো বটেই বিদেশেও সাড়া ফেলেছে। [বাবা কলকাতার, 'মিস জাপান' হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রিয়াঙ্কা!]
বছর ৪৫-এর এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনী তথা পপ তারকা জানাচ্ছেন, আমি প্রথাগত ভাবধারায় বিশ্বাসী নই। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনী মানেই সে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসবে না। একাকী মনাস্ট্রির মধ্যে থাকবে, মুখচোরা হবে। তবে আমি এসবে বিশ্বাস করি না। সাফ জানিয়েছেন অ্যানি। [স্বামী পেটানোয় বিশ্বসেরা এই দেশের মহিলারা!]
ঠিক একইভাবে তিনি যখন মঞ্চে গান গাইতে ওঠেন, সন্ন্যাসিনী সত্ত্বাকে পিছনে ফেলে একজন পপ তারকা হিসাবেই তাঁকে স্বাগত জানায় দর্শক ও অ্যানির গুণমুগ্ধরা।
তবে অ্যানির এই দ্বৈত সত্ত্বা বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে। তিনি গলা বেচে পয়সা রোজগার করছেন, এমনটাও বলছেন অনেকে। সন্ন্যাসিনী হয়ে অ্যানি কীভাবে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন তা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকে।
বাবার অত্যাচার ও বিয়ে থেকে বাঁচতে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই সন্ন্যাসিনীদের পথ অবলম্বন করেন অ্যানি। ভারত, ব্রাজিল, চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে বহু শো করে ফেলেছেন অ্যানি। তিনি বলছেন, বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীরা গরিব বেশে থাকবে, জীবনযাপন করবে, এটা একেবারে ভুল ধারণা। তিনি এতে বিশ্বাস করেন না। কনসার্ট সহ নানা অনুষ্ঠানে তিনি যা রোজগার করেন তা দান করেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
১৯৯৭ সালে অ্যানির প্রথম অ্যালবাম মুক্তি পায়। নাম ছিল 'চো'। তারপর থেকে আর গানের জগতে ঘুরে দেখেননি অ্যানি। ২ দশক ধরে সমস্ত সমালোচনা সহ্য করে গান গেয়ে চলেছেন। এভাবেই সবকিছু সয়ে গান গেয়ে রোজগার করে যেতে চান অ্যানি। যাতে সেই টাকায় দাতব্য করতে পারেন তিনি।