বোনের বয়ফ্রেন্ডের মারা ছুরি চোখ দিয়ে ঢুকে মস্তিষ্ক ভেদ করে বেরল, তবু সুস্থ ছেলেটি!
চমৎকার বললেও হয়তো কম বলা হবে। বিস্মিত চিকিৎসকরাও। বোনের বয়ফ্রেন্ডের হিংস্র হামলা শিকার হয়েছিল ২২ বছরের ছেলেটি। চোখে মারা ছুরি বেরিয়েছিল মস্তিষ্ক ফুঁড়ে। সেই অবস্থায় ১৮ ঘন্টার অপেক্ষার পর শরীর থেকে বের করা হয় ওই ধারালো অস্ত্র। এতকিছুর পরেও দিব্যি সুস্থ রয়েছে ছেলেটি। [অবিশ্বাস্য : বুকের এফোঁড়-ওফোঁড় বাঁশ ঢুকেও প্রাণে রক্ষা পেলেন দিঘার বাসচালক!]
কলম্বিয়ার বাসিন্দা ২২ বছরের অ্যালবার্তো পালাসিও ভিৎজাইনো। ছোট বোনের বয়ফ্রেন্ড ড্যানিয়েলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরায় এই দুর্ঘটনা। তর্কাতর্কির জেরে একটি ছুরি নিয়ে অ্যালবার্তোর উপর ঝাঁপিয়ে পরে ড্যানিয়েল। হাতের ছুরি সোজা ঢুকিয়ে দেয় অ্যালবার্তোর বাঁ চোখে। এরপরেই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সে পালিয়ে যায়। [(ছবি) ৯টি অদ্ভুদ জিনিস পাওয়া গিয়েছে মানুষের পেটে!]
চোখে ঢোকানো ছুরি চোখের কোটর হয়ে ঢুকে যায় মস্তিষ্কে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালবার্তোকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চোখে ছুরি নিয়ে ১৮ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। কারণ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের দল একত্রিত করতে অনেকটা সময় বেরিয়ে যায়।
চিকিৎসকদের কথায় ছুরিটি চোখ দিয়ে ৩.১ ইঞ্চি গভীরে ঢুকে গিয়েছিল। ফলে তা মস্কিষ্কেও গেঁথে যায়। অ্যালবার্তোর কথা সে নিজেও চোখ থেকে ছুরিটি বের করার চেষ্টা করে কিন্তু তা এত শক্তভাবে আটকে ছিল তা তা বের করতে পারেনি সে। [(ছবি) এই 'বিস্ময়-শিশুদের' দেখলেই চমকে উঠবেন!]
তবে আশ্চর্যের বিষয়ে এত বড় দুর্ঘটনার পরেও চোখে ৯০ শতাংশ দৃষ্টিশক্তিও রয়েছে। দেখতে কোনও সমস্যাই হচ্ছে না অ্যালবার্তোর। মাথাতে ছুরিটি গেঁথে যাওয়া সত্ত্বেও ব্রেন হ্যামারেজ বা মস্তিষ্ক কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। [(ছবি) এই তথ্যগুলি জানলে চোখ আপনার কপালে উঠবে!]
হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও কোনও শারীরিক সমস্যা আপাতত নেই অ্যালবার্তোর। তবে চিকিৎসার আরও কয়েকটি ধাপ বাকি বলে হাসপাতালে তাকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।