উরি হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানে 'খুল্লামখুল্লা' প্রচার লস্কর-ই-তৈবার!
গত সেপ্টেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলায় মোট ২০ জন জওয়ান শহিদ হন। অবশেষে সেই হামলার দায় স্বীকার করল তারা।
ইসলামাবাদ, ২৫ অক্টোবর : গত সেপ্টেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলায় মোট ২০ জন জওয়ান শহিদ হন। অবশেষে সেই হামলার দায় স্বীকার করল তারা। [সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কী? কীভাবে এটি সম্পন্ন করে ভারতীয় সেনা?]
লস্করের আসল সংগঠন, অর্থাৎ যাদের ছাতার তলায় থেকে তারা কাজ করে, সেই জামাত-উদ-দাওয়া উরি হামলায় নিহত এক জঙ্গির জন্য শোকসভার আয়োজন করেছে। পাকিস্তানের গুজরানওয়ালা প্রদেশে সেই অনুষ্ঠান হবে বলে স্যোশাল মিডিয়ায় চারিদিকে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। [ভারত-পাক পরমাণু যুদ্ধ বাঁধলে কী ক্ষতির মুখে পড়বে গোটা বিশ্ব!]
স্যোশাল মিডিয়ায় যে পোস্টারগুলি দেখা গিয়েছে তাতে যা বক্তব্য রয়েছে তাতে স্পষ্ট, জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান তথা ২০০৮ মুম্বই হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী হাফিজ সঈদ সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবে। [কীভাবে পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালাল ভারতীয় সেনা, জেনে নিন]
পোস্টারের বক্তব্য, লস্করের কর্মী (আসলে জঙ্গি) মহম্মদ আনাস ওরফে আবু সারাকা ভারতের কাশ্মীরের উরিতে সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে শহিদ হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে এই শোকসভা। উর্দুতে লেখা সেই পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে যে, লস্কর জঙ্গিরা মোট ১৭৭ জন ভারতীয় সেনাকে খুন করেছে। [ভারত-পাক সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের রমরমা ব্যবসা চলছে]
আরও জানা গিয়েছে, শেষকৃত্য ও শোকসভা বসবে গুজরানওয়ালা প্রদেশের বড়া নালা নবাব চকে সদাবাহার নার্সারিতে। আপাতত সেই পোস্টারেই ছেয়ে রয়েছে গুরানওয়ালা প্রদেশ।
উরি হামলার পরে বরাবরের মতো এবারও পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসের দায় নিতে অস্বীকার করেছে। ভারত বারবার প্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও সেগুলিকে অস্বীকার করেছে। এই পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরে পাকিস্তানের ফের একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল বলেই মনে করছে ওয়ারিবহাল মহল।