বর্ণবিদ্বেষের জের :মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকবাজের গুলিতে নিহত ভারতীয় ,আহত ২
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসে এক ৫১ বছর বয়সী বন্দুকবাজের গুলিতে নিহত হন এক ভারতীয় এঞ্জিনিয়র। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
কানসাস, ২৪ ফে্রুয়ারি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসে এক ৫১ বছর বয়সী বন্দুকবাজের গুলিতে নিহত হন এক ভারতীয় এঞ্জেনিয়র। জানা গিয়েছে বর্ণবিদ্বেষের জেরে কানসাসের 'অস্টিন বার অ্যান্ড গ্রিল' নামের একটি বারে, ভারতীয়দের ওপর গুলি চালায় ওই অভিযুক্ত বন্দুকবাজ। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলে জানান। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ভারতীয় দুতাবাসের দুই আমলা।
ওই বারে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন ২জন। আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত ভারতীয়ের নাম শ্রীনিবাস কুচিভোতলা । ৩২ বছর বয়সী এই ভারতীয়কে হাসপাতালে নিয়ে গেলে , তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। l শ্রীনিবাসকে একজন আরব নাগরিক ভেবে , তাঁর ওপর হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত। ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত আদম পিউরিনটন। নিজেকে বাঁচাতে ওই বন্দুকবাজ আরেকটি বারে আশ্রয় নেয় বলে জানা গিয়েছে। তবে পরে ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বার কর্তৃপক্ষ। এদিকে , ঘটনায় শোকস্তব্ধ শ্রীনিবাস কুচিভোতলার স্ত্রী সুনয়না দুমালা।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে এফবিআই। তদন্তে নেমেছে মার্কিন পুলিশও। প্রাথমিক ভাবে মার্কিন প্রশাসন এটিকে একটি বিদ্বেষমূলক ঘটনা বলেই দেখছে। কারণ, গুলি করার আগে অভিযুক্ত বন্দুকবাজ আদম পিউরিনটন বর্ণবিদ্বেষ মূলক কথাবার্তা বলতে থাকেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বিশেষত ২ ভারতীয়ের দিকে লক্ষ্য করেই ওই বন্দুকবাজ এসব বলতে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। গুলি করার আগে, মার্কিন মুলুক থেকে ওই ভারতীয়দের বেরিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিতে থাকে অভিযুক্ত বন্দুকবাজ।
শ্রীনিবাস কুচিভোতলা ছাড়াও তাঁর সঙ্গে ওই বারে ছিলেন ৩২ বছর বয়সী অলোক মাদাসানি। ঘটনায় তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। জানা গিয়েছে তাঁরা দুজনেই পেশায় এঞ্জেনিয়ার, তাঁরা গারমিন ইন্টারন্যাশনাল নামের এক মার্কিন সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। এদিকে, বারে গুলি চালনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ২৪ বছর বয়সী ইয়ান গ্রিলোট নামের আরেক ব্যক্তি। বন্দুকবাজের গুলিতে তিনিও আহত হন। ইয়ান ও অলোক দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে অলোক মাদাসানিকে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল।