কাবুলের ইরাকি দূতাবাসে আত্মঘাতী বোমা হামলা
ইসলামিক স্টেটের পক্ষ থেকে এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই মসুলে আই এস-এর বিরুদ্ধে ইরাকী বাহিনীর বিজয় উদযাপন করা হয়েছিল কাবুলের ওই দূতাবাসে, এই হামলার মাধ্যমে আইএস বদলা নিতে চাইল।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের ইরাকি দূতাবাসে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে। দূতাবাসের প্রবেশপথে একজন আক্রমণকারী নিজের সাথে থাকা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়, আর তার পর অন্যরা দূতাবাসের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
এর পর আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে তাদের তীব্র লড়াই শুরু হয়। ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী বলছে তারাই এ আক্রমণ চালিয়েছে।
কাবুলে বোমা বিস্ফারণ, আত্মঘাতী হামলা - এগুলো একবারেই নতুন কিছু নয়। যেটা নতুন, তা হলো এই প্রথম সেখানে ইরাকি দূতাবাসকে টার্গেট করা হলো।
হামলাকারী ছিল মোট চারজন। তাদের একজন কাবুলের শার-এ-নে এলাকায় অবস্থিত ইরাকি দূতাবাসের গেটে শরীরে বাঁধা বোমা ফাটায়। এরপর বাকি তিনজন ভেতরে ঢোকে।
বিস্ফোরণে দূতাবাসের দুজন রক্ষী মারা গেছে। ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের শীর্ষ কূটনীতিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া গেছে।
তিনি এখন মিশরের দূতাবাসে রয়েছেন। অন্য অন্তত আরো দুজন কর্মীকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আফগান সরকারের পক্ষ থেকে হতাহতের সংখ্যা বলা হয়নি। এমন কী তারা আগে জানিয়েছিল দূতাবাসের সমস্ত কর্মীকেই নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া গেছে। ইরাকি সরকারের ভাষ্য অবশ্য ভিন্ন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন হামলার পর বহুক্ষণ ধরে থেকে থেকেই গোলাগুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ আসছিল। ইসলামিক স্টেট এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, দিন পনেরো আগে কাবুলে ইরাকি দূতাবাসে মসুলে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে ইরাকি বাহিনীর বিজয় উদযাপন করা হয়। তখন সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছিল।
আই এস তার প্রতিশোধ নিয়ে থাকতে পারে - এমন ধারণাও পোষণ করছেন সংবাদদাতারা।
গত সোমবারই কাবুলের শিয়া অধ্যুষিত একটি এলাকায় গাড়ি বোমা হামলায় ৩০ জন মারা যায়।
জাতিসংঘের হিসাবে এ বছরের প্রথম ছমাসে আফগানিস্তানে সহিংসতায় ১৬৬২ জন বেসামরিক লোক মারা গেছে। এদের বিশ শতাংশই মারা গেছে শুধু কাবুল শহরে।
আমাদের পেজে আরও পড়ুন :
বাড্ডার শিশুটিকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ: পুলিশ
পুরুষের শুক্রাণু কমে যাচ্ছে, 'বিলুপ্ত হতে পারে মানুষ': গবেষণা
সিলগালা কনটেইনারে শ্রমিক গেল কী করে?