পাকিস্তানের শত চেষ্টা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপুঞ্জের ভাষণে জায়গা পেল না 'কাশ্মীর'
নয়াদিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর : আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে জোরালো আক্রমণে যাবেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ঢুকিয়ে ভারতে অস্থিরতা তৈরি করার সমস্ত দায় চাপাবেন প্রতিবেশীর উপরে। [ফের উরি সীমান্তে হামলার চেষ্টা, সেনা এনকাউন্টারে খতম আরও ১০ জঙ্গি]
তবে তার আগে ভারতের জন্য স্বস্তির বাতাস বয়ে আনলেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। পাকিস্তানের শত অনুরোধ সত্ত্বেও রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় আলোচনার জন্য কাশ্মীর সমস্যাকে জায়গা দেননি তিনি। [উরি হামলার পরে মাসুদ আজহারের জঈশ-ই-মহম্মদ 'সেরা জঙ্গি দল' ক্লাবে উত্তীর্ণ হল!]
নিজের উদ্বোধনী ভাষণে বান কি মুন বরং পশ্চিম এশিয়া ও সিরিয়া নিয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাতে ভারত-পাকিস্তান বা জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও উল্লেখ ছিল না। ফলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ জাতিসংঘে ভাষণের আগেই বড় ধাক্কা খেলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ভারতের বিরুদ্ধে কড়া ভাষণের জন্যই তৈরি হচ্ছিলেন নওয়াজ। [পাকিস্তান 'সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র': বিল পেশ মার্কিন কংগ্রেসে]
এছাড়াও ভারতের আর একটি সাফল্য সামনে এসেছে। তা হল, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের ব্রিকস অনুমোদিত সম্মেলনের বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। এই প্রথম বিশ্বের বিভিন্ন গোষ্ঠী এমন পদক্ষেপে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়েছে। এবং তা হয়েছে ভারতের পৌরহিত্যেই। [উরি হামলার জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে এসেই হামলা চালিয়েছে, এই তার প্রমাণ!]
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে বলেই অনেকে মনে করছেন। ফলে আগামী নভেম্বরে সার্ক সম্মেলনে পাকিস্তানকে গণ বয়কট করা হতে পারে বলেও আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। যত বেশি দেশকে পারা যায় এতে শামিল করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে তৈরি বিভিন্ন দেশ। আঞ্চলিক শান্তি ভঙ্গের দায়ে সকলে একযোগে পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা যায় কিনা তা নিয়ে রব উঠতে শুরু হয়ে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে ভারতের পাশে রয়েছে আফগানিস্তানের মতো অনেক দেশ। এটা রাষ্ট্রযন্ত্রের তৈরি ও মদত দেওয়া সন্ত্রাস। এতে পাকিস্তানের সরকার জড়িয়ে নেই, এমনটা সর্বৈব মিথ্যা। এখন সকলের কাছে হাজারো প্রমাণ রয়েছে পাকিস্তানকে মিথ্যাবাদী প্রমাণের জন্য।