পাকিস্তানে ১৩ বছর আটকে ভারতীয় মেয়ে, প্রয়োজন একজন 'বজরঙ্গী ভাইজান'-এর
করাচি, ২ অগাস্ট : বলিউড তারকা সলমন খান অভিনীত 'বজরঙ্গী ভাইজান' হতে পারে কাল্পনিক ছবি, তবে বাস্তব জীবনে এমন ঘটনা ঘটেই থাকে, তার প্রমাণ মিলল। ['বজরঙ্গী ভাইজান'-এর তৈরি ১০টি বক্স অফিস রেকর্ড]
এমন অদ্ভুত ঘটনাই ঘটেছে এক ভারতীয় মেয়ের সঙ্গে। বজরঙ্গীর প্রিয় মুন্নি কথা বলতে পারত না। মায়ের সঙ্গে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে ফেরার পথে হারিয়ে গিয়েছিল। তবে এখানে কাহিনি উল্টো। [গোপনে 'বজরঙ্গী ভাইজান'-এর সেটে হাজির ক্যাটরিনা!]
এক ভারতীয় মেয়ে কোনওভাবে ওপারে পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে। সে একইসঙ্গে মূক ও বধীর। বহু চেষ্টা করেও তাকে দেশে ফেরানো যায়নি। গত ১৩ বছর ধরে সে পাকিস্তানে রয়েছে। এখন তাঁর বয়স ২৩ বছর। [বজরঙ্গী ভাইজান রিভিউ]
পাকিস্তানের একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থার তত্ত্ববধানে সে রয়েছে। তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে গীতা। জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁকে পাওয়ার পরে লাহোরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে করাচিতে রয়েছে সেই মেয়েটি।
কোনওভাবে দুই দেশের সীমান্ত পেরিয়ে সে পাকিস্তানে ঢুকে গিয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। শুনতে ও বলতে না পারার জন্য গীতাকে ভারতে ফেরানোর সব চেষ্টা বিফলে গিয়েছে। ['বজরঙ্গী ভাইজান'-এর শুটিংয়ের অদেখা ছবি]
কীভাবে জানা গেল গীতা ভারতীয়?
কথা বলতে বা শুনতে না পারলেও ভারতের মানচিত্র দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল গীতা। প্রথমে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দিকে ইশারা করলেও পরে সে তেলেঙ্গানা রাজ্যকে দেখায়। আগের কোনওকিছুই সেভাবে তার থেকে জানা যায়নি।
গীতার
পরিবারে
কে
রয়েছে?
তবে গীতা ইশারায় জানিয়েছে তারা মোট ৭ ভাই ও ৪ বোন। কিছু হিন্দি ম্যাগাজিন দেখে কয়েকটি শব্দ বোঝাতে চাইলেও তাতে অস্পষ্টতা রয়েছে।
ভারতীয় দূতাবাস থেকে গীতার ছবি তুলে নিয়ে গেলেও আর কোনও খবর দেওয়া হয়নি। এক ভারতীয় সাংবাদিক গীতার সাক্ষাৎকার নিলেও তারপর আর কিছু জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, সব চেষ্টা বিফলে যাওয়ায় গীতাকে ভারতে ফেরানোর জন্য এখন ফেসবুকে প্রচার শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানে হিন্দু ছেলে দেখে তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে সংসার পাতার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্য়ান করেছে গীতা। ইশারায় বুঝিয়েছে বাড়ি না ফিরে কোনওভাবেই বিয়ে করবে না সে।
বজরঙ্গী ভাইজানের মতো কেউ পাকিস্তান থেকে এদেশে এসে গীতাকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে যাবেন, এমন অলৌকিক কিছু ঘটুক, এমনই চাইছেন পাকিস্তানে গীতার দেখভাল করা লোকজনেরা।