For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাদক যেভাবে ঢাকায় পৌঁছায়

বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১৬০ কেজি গাঁজা আত্মসাতের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু এর পর থেকেই তারা বেমালুম গায়েব।

  • By Bbc Bengali

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৬০ কেজি গাঁজা আত্মসাতের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ফেরার হয়েছে পুলিশের ছয় জন সদস্য।

পুলিশ এখন কসবা থানার দু'জন এসআই, দু'জন এএসআই এবং দু'জন কনস্টেবলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, ঐ ছয় জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গাঁজা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর তিনি তদন্ত চালিয়ে কসবা থানার একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে ১৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।

গত মঙ্গলবার কসবা থেকে দুটি প্রাইভেট কারে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ গাড়ি দুটিতে তল্লাশি চালায়।

দুই গাড়ি থেকে মোট ২০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

কিন্তু পরে মাত্র ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা মামলা দায়ের করেন।

মাদক যেভাবে ঢাকায় যায়

বিবিসির সাথে আলাপকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, চোরাচালানের জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা নিত্য নতুন কায়দা ব্যবহার করে থাকে।

তিনি বলেন, একবার ট্রাকের তেলের ট্যাংকের মধ্য থেকে তারা মাদক উদ্ধার করেছেন।

মি. হোসাইন বলেন, মাদক পাচারকারীদের যাতে সহজে শনাক্ত করা না যায় এজন্য তারা চালান প্রতি গড়ে ১৫ জন করে লোক নিয়োগ করে।

যাদের এই কাজে ব্যবহার করা হয় তাদের একটা বড় অংশ দিনমজুর, রাজমিস্ত্রি কিংবা রিকশাচালক, তিনি বলেন।

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এরা জেনেশুনে মাদক পাচারে অংশ নেয় না। তাদের অজান্তে তাদের ব্যবহার করা হয়।

"এরা কাট-আউট পদ্ধতি ব্যবহার করে। একজনের খবর অন্যজন জানে না," বলছিলেন তিনি, "আমরা একটি ঘটনায় পাঁচ জনকে আটকাতে পেরেছিলাম। কিন্তু তারপরও কাট-আউট পদ্ধতির কারণে পুরো চেইনটিকে খুঁজে বের করতে আমাদের দীর্ঘ সময় লেগে যায়।"

ফলে এই ধরনের মাদক মামলার তদন্তে দীর্ঘ সময় লেগে যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা মনে করেন, দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তারা যদি 'স্নিফার ডগ' বা পুলিশ কুকুর ব্যবহার করতে পারতেন তাহলে মাদক শনাক্ত করা কাজ আরও সহজ হতো।

"প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করতে পারলে এই এলাকায় মাদক চোরাচালান ৯০% কমিয়ে আনা সম্ভব হবে," মি. হোসাইন বলেন।

আরও দেখুন:

উড়ন্ত গাড়ির স্বপ্ন কি এবার বাস্তব হয়ে ওঠার পথে?

কিভাবে সম্ভব হলো কিম-ট্রাম্প বৈঠকের উদ্যোগ ?

English summary
How drugs been routed from border to Bangladesh' Dhaka
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X