এক্সক্লুসিভ : নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েও কীভাবে পাকিস্তানে সংগঠন চালায় জঈশ জঙ্গিরা!
নয়াদিল্লি, ১৫ জানুয়ারি : ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলার ঘটনা ঘটানোর পরের বছর জঙ্গি সংগঠন জঈশ-ই-মহম্মদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় পাকিস্তানে। কিন্তু নিষিদ্ধ হয়েও কোনও সংগঠন কীভাবে অবলীলায় পাকিস্তানের মাটিতে বসে ভারত বিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা করে গিয়েছে তা নিয়ে পাকিস্তানকে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যাবে না এটা স্বাভাবিক। [সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক করা দিয়ে শুরু হয়েছিল ছোট রাজনের অপরাধ দুনিয়ায় পথ চলা!]
কিন্তু কীভাবে জঈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠন পাকিস্তানে বসে কাজ করে গিয়েছে, সেই তথ্য প্রমাণ সমেত উঠে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে।
পাকিস্তান সরকার কয়েকদিন আগে হওয়া পাঠানকোট হামলার পরে বুধবার নিজের দেশে জঈশের দফতরে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। জঈশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারকে গ্রেফতার নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও তা হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। [পাঁচ বছর আগেই অপরাধ জগত থেকে অবসর নিয়েছে দাউদ ইব্রাহিম!]
কেন পাকিস্তানে থাকা সত্ত্বেও মাসুদ আজহারকে গ্রেফতার করতে পারছে না সেদেশের সরকার? মাসুদ আজহার পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও পাকিস্তানি সেনার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিজ সঈদ যেসব সুযোগ-সুবিধা পাকিস্তানে পেয়ে থাকে, একই সুবিধা পেয়ে থাকে মাসুদ আজহারও। [পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট ইয়াকুব মেমনের অপরাধী হয়ে ওঠার কাহিনি]
যখন কোনও জায়গায় জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা থাকে না, সেই সময়ে জেহাদের ধারণাকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে জঈশের সদস্য জঙ্গিরা। আর এসবই তারা করে আল-রহমত-ট্রাস্টের অধীনে থেকে। ম্যাগাজিন ছাপানো, লিফলেট বিলি ইত্যাদি সবই চলে জেহাদের বার্তাকে ছড়িয়ে দিতে। [আল কায়েদার ম্যাগাজিনে বিস্ফোরক সব জেহাদি লেখা যা দেখলে গায়া কাঁটা দেবে]
পাকিস্তানের তরুণ সমাজ যাতে জেহাদের রাস্তা বেছে নেয়, এবং বিশেষ করে ভারত বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে বড় হয়ে ওঠে, সেটাকে মাথায় রেখেই জেহাদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
আল-রহমত-ট্রাস্ট কোনও জঙ্গি সংগঠন নয়। এই ট্রাস্টকে ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। আর সেটার ফায়দা তুলে সেটাকে সামনে রেখেই সন্ত্রাসের হোলি খেলায় মেতেছে জঙ্গিরা। টাকা-পয়সা তোলার জন্য এই ট্রাস্টের নামে পাকিস্তানে দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। [ইয়াকুব মেমনের মৃত্যুদণ্ড : জেনে নিন 'ফাঁসির দড়ি' নিয়ে অজানা নানা তথ্য]
এছাড়াও আল-রহমত ট্রাস্টে দফতরের আড়ালে জঈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা নিজেদের কাজকর্ম এতদিন চালিয়ে গিয়েছে। এদের ম্যাগাজিনে দীর্ঘদিন ধরে মাসুদ আজহার নাম বদলে 'সাদ' নামে উস্কানিমূলক লেখা চালিয়ে গিয়েছে। করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ছাড়াও মুজফফরাবাদে আল-রহমত-ট্রাস্টের দফতর রয়েছে। যার আড়ালেই জেহাদ ও জঙ্গি কাজকর্ম চালিয়েছে জঈশ-মহম্মদ।