(Update) গুলশন সন্ত্রাস : ২০ জন পণবন্দিকে খুন করা হয়েছে, মৃত ১ ভারতীয় মহিলাও
ঢাকা, ২ জুলাই : ঢাকার জঙ্গিহানায় তারুষি নামের এক ভারতীয় মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে টুইটারে জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তারুষি ছাড়া অন্য কোনও ভারতীয় মৃত্যু হয়েছে কি না এই জঙ্গি হামলায় তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
I am extremely pained to share that the terrorists have killed Tarushi, an Indian girl who was taken hostage in the terror attack in Dhaka.
— Sushma Swaraj (@SushmaSwaraj) July 2, 2016
I have spoken to her father Shri Sanjeev Jain and conveyed our deepest condolences.The country is with them in this hour of grief.
— Sushma Swaraj (@SushmaSwaraj) July 2, 2016
(Update) গুলশন সন্ত্রাস : ২০ জন পণবন্দিকে খুন করা হয়েছে, সেনার গুলিতে মৃত ৬ জঙ্গি
ঢাকা, ২ জুলাই : ঢাকার গুলশন এলাকারয় রেস্তোরাঁয় জঙ্গিহানায় ২০ জন পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে। যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশী নাগরিক ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। ১০ ঘন্টার লড়াইয়ের পর রেস্তোরাঁকে জঙ্গিমুক্ত করা গিয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, অধিকাংশকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে।
মৃত বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে জাপানি ও ইতালীয় নাগরিকের সংখ্যা সবথেকে বেশি। যে ১৩ জন পণবন্দিকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ২ জন শ্রীলঙ্কার নাগরিক ও ১ জন জাপানি নাগরিক রয়েছে। তিনজনেই গুরুতর জখম হয়েছেন।
(Update) ঢাকা জঙ্গিহানা : সেনার গুলিতে ৬ জঙ্গি মারা গিয়েছে, ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
ঢাকা, ২ জুলাই : পুলিশ ও কমান্ডো বাহিনির যৌথ চেষ্টায় রেস্তারাঁ জঙ্গিমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ জন জঙ্গির মৃত্যুর পাশাপাশি ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে হাসিনা জানিয়েছেন।
একটি অনুষ্ঠানে এই ঘটনার সমালোচনা করে হাসিনা বলেন, দেশে সন্ত্রাসবাদকে কখনওই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। জনগণকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এই ধরণের সন্ত্রাসের ঘটনায় দেশের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম হয়না বলে মন্তব্য করেছেনন প্রধানমন্ত্রী।
(Update) জঙ্গিমুক্ত ঢাকার রেস্তোরাঁ, ২-৩ বন্দুকবাজের এলাকাতেই লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা
ঢাকা, ২ জুলাই : রাতভর পুলিশি অভিযানের পর ঢাকার গুলশন এলাকার রেস্তোরাঁকে জঙ্গিমুক্ত করতে অপারেশন শুরু করে কমান্ডো বাহিনী। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে জঙ্গি ও কমান্ডোর মুহূর্মূহ গুলির চলাই চলতে থাকে। ৪৫ মিনিটের কমান্ডো অভিযানে হত ৬ জঙ্গি। গুলশন রেস্তোরাঁয় অপারেশন শেষ জানিয়েছেন RAB-র গোয়ান্দাপ্রধান। যদিও সরকারি সূত্রে এখনও কিছু জানানো হয়নি। অভিযানে ছিলেন প্রায় ১০০ জন কমান্ডো।
রেস্তোরাঁ থেকে ৩টি বোমা উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে বম্ব স্কোয়াড। সকালের দিকে রেস্তোরাঁর ভিতরে একটি বিস্ফোরণে শব্দ শোনা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ১৮ জন পণবন্দিকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় প্রায় ৩৬ জন আহত হয়েছেন। ঢাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে ৮ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঠিক কতজন জঙ্গি ছিল এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ৬ জঙ্গির মৃত্যুর পাশাপাশি ২-৩ জন জঙ্গির খোঁজ মিলছে না বলেও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। আশেপাশেই কোথাও তাদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। [ঢাকার জঙ্গিহানা : কলকাতায় কড়া সতর্কতা জারি!]
ঢাকার রেস্তোরাঁয় বন্দুকবাজদের হামলা, মৃত ৫, পণবন্দি কমপক্ষে ৩০
ঢাকা, ২ জুলাই : ঢাকার গুলশন এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় বন্দুকবাজদের হামলায় কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন ইতালীয় কুটনীতিক বলে সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে। শুক্রবারদিন রাত ৯ টা নাগাদ প্রথম হামলা চালানো হয়। রেস্তোরাঁর মধ্যে ১০-১২ জন বন্দুকবাজ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ওসি-সহ ২ পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে।
হোলে আর্টেশন বেকারি নামের ওই রেস্তোরাঁয় বন্দুকবাজরা ঢুকেই অন্ততপক্ষে ৪০জনকে পণবন্দি করে। পুলিশের সঙ্গে এরপর গুলির লড়াই শুরু হয়। ৫০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয় পুলিশ ও বন্দুকবাজের মধ্যে।
সারারাত ধরে বন্দুকবাজদের বন্দুকের নিশানায় ছিলেন পণবন্দীরা। পণবন্দীদের মধ্যে একজনকে ছাদে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই অভিযানে নামে বাংলাদেশী সেনা। এখনও পর্যন্ত ১৩ জন পণবন্দীকে তারা উদ্ধার করতে পেরেছে। আরও কমপক্ষে ৩০ জন আটকে রয়েছেন বলে বাংলাদেশী সেনার অনুমান।
রেস্তোরাঁর ভিতরে এখনও ১০-১২ জন জঙ্গি রয়েছে বলে অনুমান। আইএস জঙ্গিরা এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।