'পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র', ট্রাম্পের আমলেই বিল পাশ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়েই সম্ভবত প্রথম এই কাজটিই করবেন ট্রাম্প। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করবেন আমেরিকার ৪৫তম রাষ্ট্রপতি। মার্কিন কংগ্রেস থেকে উত্থাপিত বিলটি ট্রাম্পের কাছে এলেই তাত
ওয়াশিংটন, ১৭ নভেম্বর : রাষ্ট্রপতি পদে বসতে চলা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরেই 'সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র' তকমা পাবে পাকিস্তান। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ী তথা ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শদাতা কাউন্সিলের সদস্য শলভ কুমার।
তাঁর ব্যাখ্যা, নতুন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের কাছে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র তকমা দিতে মার্কিন কংগ্রেসে তৈরি বিল এলেই তাতে মঞ্জুরি দিয়ে দেবেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে শলভ কুমার জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নিশ্চিতভাবেই দারুণ সম্পর্ক হবে নতুন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের। একইসঙ্গে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও অন্য উচ্চতায় যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়েই সম্ভবত প্রথম এই কাজটিই করবেন ট্রাম্প। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করবেন আমেরিকার ৪৫তম রাষ্ট্রপতি। মার্কিন কংগ্রেস থেকে উত্থাপিত বিলটি ট্রাম্পের কাছে এলেই তাতে সিলমোহর দেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে পাকিস্তানি জঙ্গিরা হামলা চালানোর পরে ভারতের তরফে তো বটেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফেও পাকিস্তানের উপরে চাপ তৈরি করা হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্য গত সেপ্টেম্বরে বিল পেশ করে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি জানান।
এরা হলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য টেড পো যিনি সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত হাউস সাবকমিটির চেয়ারম্যান ও অন্যজন হলেন দানা রোহরাবাখার। এদের পেশ করা বিল গৃহীতও হয়।
একদিকে নরেন্দ্র মোদী সারা ভারতে যখন ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তখন তার কিছুঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকায় হিলারি ক্লিন্টনকে অপ্রত্যাশিতভাবে হারিয়ে রাষ্ট্রপতির চেয়ার দখল করছেন ট্রাম্প। ফলে ভারত-আমেরিকা দুই দেশের জন্যই সুদিন অপেক্ষা করে রয়েছে বলে মত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ী শলভ কুমারের।
ট্রাম্পের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য হিসাবে শলভ কুমারের দাবি, প্রতিবছর ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্বে মার্কিন অর্থনীতি ৪-৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে দেশের সার্ভিস সেক্টরেও প্রচুর লোকের প্রয়োজন পড়বে। ফলে এদেশের আইটি কর্মীদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে যে গুজব ছড়ানো হয়েছে তা মিথ্যা প্রমাণিত হবে। কারণ এই কাজে প্রচুর ভারতীয়ের প্রয়োজন হবে। ফলে সকলের জন্যই তা মঙ্গলের হবে।