মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: আদালতে সিদ্ধান্ত ধাক্কা খেলেও, ট্রাম্পের ফরমান মানার নির্দেশ প্রশাসনের
ক্ষমতায় এসে প্রথম বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর পরই মার্কিন আদালতে ধাক্কা খান মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা দফতর থেকে নির্দেশ, রাষ্ট্রপতির ফরমান মানতে হবে।
নিউইয়র্ক, ৩০ জানুয়ারি : ক্ষমতায় এসে প্রথম বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর পরই মার্কিন আদালতে ধাক্কা খান মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়া, সুদান, ইরান, লিবিয়া,ইরাক-সহ ৭ দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর শনিবার যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে সেদেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত।
এদিকে সেই নির্দেশ মেনে বিমানবন্দরে মার্কিন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা যখন কাজ করতে যান তখন তাদের কাছে নির্দেশ আসে মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা দফতর থেকে। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়, মার্কিন রাষ্ট্রপতির ফরমান যেরকম রয়েছে , সেভাবেই তাকে মানা হবে। ফরমানে যা বলা হয়েছে, তাইই সকলকে কার্যকরি হবে । জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে মার্কিন প্রশাসন যেকোনও সময়ে 'ভিসা' রদ করতে পারে।
প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রীয় এক আদালতে রবিবার জানানো হয়,'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা ওই ৭ দেশের নাগরিকদের কোনও ভাবেই দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না। আদালতের মতে দেশে ফেরত পাঠালে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হবেন ওই উদ্বাস্তুরা। তবে তাঁদের আটক করে রাখা হবে, নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করার অনুমতি মিলবে তা নিয়ে কিছু বলেনি আদালত। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ় ইউনিয়ন নামে একটি সংস্থা ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারির বিরোধীতা করে নিউইয়র্কের এক যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতে মামলা করে। তার প্রেক্ষিতেই এই রায় দেয় আদালত।
মুসলিম প্রধানদেশ গুলির ওপর রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাদ- প্রতিবাদে উত্তাল বিশ্ব রাজনীতি। এবিষয়ে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যে এটি 'মুসলিম' অধ্যুষিত দেশ কেন্দ্রিক বিষয় নয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে, আমেরিকাগামী সমস্ত বিমানে নিজেদের বিমানকর্মীদের নামের তালিকায় পরিববর্তন করল এমিরেটস এয়ারলাইন্স।