কোভিড: একদিনে ৬৩ জন মারা গেলেন, শনাক্ত হলেন প্রায় চার হাজার
কোভিড: একদিনে ৬৩ জন মারা গেলেন, শনাক্ত হলেন প্রায় চার হাজার
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জন মানুষ মারা গেছেন, যা গত দেড় মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে সর্বশেষ গত ৪ঠা মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন হাজার ৮৪০জন মানুষ শনাক্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো আট লাখ ৪১ হাজার ৮৭ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১৩ হাজার ৩৪৫ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে দেশে মৃত্যু এবং সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরে বিশেষ করে সীমান্ত-সংলগ্ন জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
আরো পড়তে পারেন:
- বাংলাদেশে রোগীর সকল তথ্য ও সেবার কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা কত দূর?
- হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, বিকেল থেকে রাজশাহীতে লকডাউন
- বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আবারো বাড়ানো হলো
- ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে, টিকা নেই, বিপাকে বাংলাদেশ
- কিছু বুদ্ধিজীবী কেন টিকা নিয়ে 'মধ্যস্বত্বভোগী'র প্রশ্ন তুলছেন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, জুন মাসের ৪ তারিখের পর থেকে দ্রুত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সঙক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষাপটে দেশে লকডাউন বা চলাচলে বিধিনিষেধ ১৫ই জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনার রোগী শনাক্তের হার প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ।
এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এই মূহুর্তে সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ৫২৮টি পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে মোট ১২৬ টি পরীক্ষাগারে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়া ৩৫৬টি সরকারি ল্যাবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন এবং ৪৩টি পরীক্ষাগারে জিন এক্সপার্ট পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা চলছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২,৭১৪ জন, এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৬ জন।
১৬ই জুন সকাল আটটা থেকে ১৭ই জুন সকাল আটটা পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৮৭১ টি।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৩ জন মানুষের মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন আর নারী ১৮ জন।
মারা যাওয়া ষাটোর্ধ আছেন ৩১ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে আছেন ১৫ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে আছেন সাতজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে আছেন সাতজন। এছাড়া ২১-৩০ বছরের মধ্যে আছেন একজন এবং ১১-২০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন দুইজন।
এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন নয়জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন আটজন।