রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিতর্কসভায় বিল ক্লিনটনের প্রাক্তন প্রেমিকাকে নেমন্তন্ন করে বসলেন ট্রাম্প?
নিউ ইয়র্ক, ২৬ সেপ্টেম্বর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রথম বিতর্কসভা সোমবার (সেপ্টেম্বর ২৬) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে (ভারতীয় সময়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ'টা থেকে শুরু)। কিন্তু অন্যান্য নানা কাণ্ডের মতো এই বিতর্কসভার আগেও মার্কিন রাজনীতিতে নাটুকেপনায় জমজমাট।
রিপাবলিকান দলের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, যাঁর বিতর্ক পিছু ছাড়ে না, গত শনিবার হঠাৎ একটি টুইটে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনের প্ৰাক্তন প্রেমিকা জেনিফার ফ্লাওয়ার্সকে সোমবারের বিতর্কসভায় আসার একটি 'নিমন্ত্রণ' জানিয়ে বসেন। লক্ষ্য আর কিছুই নয়, প্রতিপক্ষ এবং বিলের স্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে কোনঠাসা করা।
'হিলারিকে কোনঠাসা করাই উদ্দেশ্য'
কিন্তু রবিবার ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার দল জানিয়ে দেয় যে ফ্লাওয়ার্সকে নেমন্তন্ন করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। সিএনএন সংবাদসংস্থাকে ট্রাম্পের প্রচার দলের তরফ থেকে জানানো হয় তাঁর টুইটটি আদতে হিলারির বিরুদ্ধে এক মনস্তাত্ত্বিক চাল।
যদিও ট্রাম্প শিবিরের ধারণা প্রাক্তন মডেল ফ্লাওয়ার্স বিতর্কসভায় হাজিরা দেবেন না, তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানান যে তিনি উক্ত সভায় উপস্থিত থাকবেন।
ট্রাম্পকে হিলারি শিবিরের কটাক্ষ
অন্যদিকে, হিলারির ডেমোক্র্যাট শিবির ট্রাম্পের এই কাণ্ড কে কটাক্ষ করে জানায় যদি ট্রাম্পের এই বিতর্কসভায় অংশ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য এই হয়ে থাকে, তবে তাঁদের আর কিছু বলার নেই।
এবিসি চ্যানেলকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে হিলারির নির্বাচনী প্রচারের ম্যানেজার রবি মুক ট্রাম্পকে "রিয়ালিটি টিভি স্টার" আখ্যা দিয়ে বলেন উনি বিনোদন প্রদানে অভিজ্ঞ হলেও রাষ্ট্রপতির কাজটা ঠিক বিনোদনের মধ্যে পড়ে না। মুকের লক্ষ্য, বলাই বাহুল্য, মার্কিন রিয়ালিটি গেম শো "দ্য এপ্রেন্টিস" যার অন্যতম অংশগ্রহণকারী ছিলেন ট্রাম্প।
কিন্তু ট্রাম্প আচমকা ফ্লাওয়ার্স-এর নাম নিলেন কেন?
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন মার্ক কিউবান নাম এক ট্রাম্প-বিরোধী এবং হিলারি-সমর্থক ধনকুবের ব্যবসায়ী জানান যে তিনি বিতর্কসভার একেবারে সামনের সারিতে বসবেন। ট্রাম্প এরপরেই টুইট জানান যদি "নির্বোধ" কিউবান সামনের সারিতেই বসবেন বলে ঠিক করে, তবে তিনি ওনার ঠিক পাশেই জেনিফার ফ্লাওয়ার্সকে জায়গা করে দেবেন। এরপরেই বিতর্কের আগেই বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে।
বিল ক্লিনটন এর আগেই স্বীকার করেছেন ফ্লাওয়ার্স-এর সঙ্গে সত্তরের দশকে তাঁর প্রণয়ের কথা। সেসময়ে তিনি আরকানসাস প্রদেশের গভর্নর ছিলেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনও ক্লিনটন হোয়াইট হাউসের শিক্ষানবিশ কর্মী মনিকা লিউইনস্কির সঙ্গে এক যৌন কেচ্ছায় জড়িয়ে পড়েন এবং রাষ্ট্রপতির পদটি হারাতে হারাতে বেঁচে যান।