ফের পরাধীন হতে পারে পাকিস্তান, আশঙ্কা সেদেশের সেনেটরদেরই!
ফের একবার পরাধীনতার ভয় পাচ্ছে পাকিস্তান। তবে তা ভারতের হাতে নয়। তাদের আর এক মিত্র প্রতিবেশী চিনের হাতে। এবং এটা যে কোনও মনগড়া বক্তব্য নয়, তা প্রমাণ করেছেন সেদেশের সেনেটররাই।
ইসলামাবাদ, ১৯ অক্টোবর : ফের একবার পরাধীনতার ভয় পাচ্ছে পাকিস্তান। তবে তা ভারতের হাতে নয়। তাদের আর এক মিত্র প্রতিবেশী চিনের হাতে। এবং এটা যে কোনও মনগড়া বক্তব্য নয়, তা প্রমাণ করেছেন সেদেশের সেনেটররাই। বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনেটর আশঙ্কা প্রকাশ করে সেকথাই বলেছেন। [দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে এত লড়াই কেন? কী এর প্রেক্ষাপট]
আসলে পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে সিপিইসি বা চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর তৈরি হচ্ছে। যার কাজ সম্পন্ন হলে পাকিস্তানের স্বার্থ যদি রক্ষিত না হয় তাহলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো চিনও ফের পাকিস্তান শাসন শুরু করবে। অর্থাৎ ফের পরাধীনতার আশঙ্কা তৈরি হবে। [চিন ব্রহ্মপুত্রের জল আটকালে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত!]
পাক সেনেটরদের ভয়, এই অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি হলেও চিন বা বিদেশি মুদ্রা পাকিস্তানে আসার বদলে নিজের দেশেরই বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। যা কোনওমতেই কাম্য নয়। ['ভারতের অংশ নয় কাশ্মীর', চিনে তৈরি 'গ্লোব' দেদার বিকোচ্ছে কেরলে]
অনেকের আশঙ্কা, এই করিডোর তৈরিতে চিনের প্রভূত সুবিধা হলেও পাকিস্তানের কাছে তা বোঝা হয়ে যাবে। এটি জাতীয় উন্নয়ন নাকি বিপর্যয় তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ যে টাকা ঋণ হিসাবে চিনের থেকে নেওয়া হয়েছে তার বোঝা চাপবে সেই সাধারণ মানুষের উপরেই। পাকিস্তানের দৈনিক সংবাদপত্র ডনে প্রকাশিত খবর, এই নিয়ে সেনেটর সঈদুল হাসান তীব্র বিরোধিতা করেছেন। [নকল চাইনিজ 'ডিম' ছেয়ে যাচ্ছে কেরলের বাজারে]
অনেকটা এই পথেই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে ব্যবসার নামে ঢুকে প্রায় দু'শো বছর শাসন চালিয়েছে বলে হুঁশিয়ার করেছেন পাক সেনেটর সঈদুল হাসান। এছাড়া বিদ্যুৎ প্রকল্পেও ইউনিট প্রতি দাম নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে দর কষাকষি করে চলেছে চিন। বেশি দাম হাঁকছে বেজিং।
এছাড়া পাকিস্তানের গদরে পরিকাঠামো তৈরি হলে একমাত্র পাঞ্জাব প্রদেশ বেশি সুবিধা ভোগ করবে। বালোচিস্তানের জন্য একমাত্র সুবিধা বলতে থাকবে জল। আর কিছু নয়। এছাড়া বালোচিস্তানের জন্য রেলওয়ে বা বিদ্যুতের কোনও প্রকল্প রাখা হয়নি।
এর ফলে পাকিস্তানের ছোট প্রদেশগুলি বঞ্চিত হবে এবং চিন সমস্ত সুবিধা ভোগ করবে ও লাভের গুড় ঘরে তুলবে। ফলে সবমিলিয়ে স্বাধীনতাকে খর্ব করে 'সিপিইসি' চায় না কেউ, এমনটাই বলছেন অনেক পাকিস্তান সেনেটর।