(ছবি) সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক করা দিয়ে শুরু হয়েছিল ছোট রাজনের অপরাধ দুনিয়ায় পথ চলা!
মুম্বই, ২৭ অক্টোবর : ভারতে একাধিক খুন, রাহাজানি, স্মাগলিং, অপহরণের মতো অপরাধের জেরে পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল ছোটা রাজ। প্রায় ২ দশক পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে ইন্দোনেশিয়া থেকে ধরা পড়ল গ্যাংস্টার ছোটা রাজন। কিন্তু কীভাবে শুরু হয়েছিল রাজনের পথ চলা। কীভাবে দুঃস্থ এক পরিবারের ছেলে রাজেন্দ্র হয়ে উঠল মুম্বই ত্রাস ছোটা রাজন। [ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেফতার আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজন]
কুখ্যাত গ্যাংস্টার ছোটা রাজনের বিষয়ে ১০ টি তথ্য
তথ্য ১
ছোটা রাজনের আসল নাম রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজে। ৫৫ বছর বয়সী এই গ্যাংস্টারের জন্ম হয়েছিল মুম্বইতেই।
তথ্য ২
সত্তর-আশির দশকে মুম্বইয়ের তিলক নগরের সাহাকার সিনেমার বাইরে সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক করেই প্রথম অপরাধের জগতে পা রাখে রাজেন্দ্র। পরিবারে দারিদ্র, এবং পেটে বিদ্যা না থাকায় ছবির টিকিট ব্ল্যাক মার্কেটিং করতে শুরু করে সে।
তথ্য ৩
ছোট খাটো অপরাধমূলক কাজ করতে করতেই ক্রমে গ্যাংস্টার বড়া রাজনের ডান হাত হয়ে যায় রাজেন্দ্র। অন্ধকার দুনিয়ায় তখন তার নাম হয় ছোটা রাজন। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ মুম্বইয়েক এসপ্ল্যানেড কোর্টের বাইরে বড়া রাজনকে গুলি করে খুন করা হয়।
তথ্য ৪
এর পরেই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন এবং সন্ত্রাসের মাস্টারমাইন্ড দাউদ ইব্রাহিমের সংস্পর্ষে আসে ছোটা রাজন। ১৯৮০-র দশকে কুখ্যাত সোনার স্মাগলার ছিল দাউদ। ১৯৮৪ সালে দুবাইতে পালিয়ে যায় দাউদ। ১৯৮৮ পর্যন্ত মুম্বইয়ে দাউদের দল চালিত হয় ছোটা রাজনের নেতৃত্বেই। এরপর ছোটা রাজনও দুবাই পালিয়ে যায়। পরে দাউদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যায় রাজন।
তথ্য ৫
ভারতে ছোটা রাজনের বিরুদ্ধে একাধিক খুন, স্মাগলিং, অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।
তথ্য ৬
ইন্টারপোল ১৯৯৫ সালে ছোটা রাজনতে ওয়ান্টেড বলে ঘোষণা করে। তখন থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে ছোটা রাজন।
তথ্য ৭
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছিল অন্য পরিচয় নিয়ে রাজন সেদেশে থাকত এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগেও ছিল।
তথ্য ৮
সিবিআই রবিবার ছোটা রাজনকে ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে। তখন সে মোহন কুমার ছদ্মনামের ব্যবহার করছিল।
তথ্য ৯
২০০০ সালে ব্যাংককের হোটেলে দাউদের লোকেরা রাজনকে খুঁজে বের করে খুন করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু কোনও মতে হোটেলের ছাদ দিয়ে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয় রাজন।
তথ্য ১০
দাউদের গুণ্ডাদের হাত থেকে পালানোর সময় পরে গিয়ে রাজনের কোমর ভাঙে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখান থেকেও সে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর পরেই রাজন দাউদের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার প্রতিজ্ঞা নেয়। এবং দাউদের দলের মুখ্য এক সদস্য শরদ শেঠিকে ২০০১ সালে খুন করে।