ঘুমের মধ্যে বাধাহীন অবস্থায় উড়তে পারে পাখিরা, জানাল গবেষণা
খেচরদের নিয়ে নানা গবেষণা নিত্য চলছে। তাদের চলাফেরা, বিবর্তন সবই গবেষণার অঙ্গ। এমনই এক গবেষণা পাখিদের নিয়ে এক উল্লেখযোগ্য তথ্য সামনে আনল। জানা গিয়েছে, ঘুমের মধ্যেও সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে উড়তে পারে পাখিরা। [পৃথিবীর গভীরতম 'সিঙ্কহোল'-এর খোঁজ মিলল দক্ষিণ চিন সাগরে!]
বিভিন্ন দেশের একদল বিজ্ঞানী দল বেঁধে এই গবেষণা চালিয়েছেন। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের গবেষক নিলস রটেনবার্গ ফ্রিগেটবার্ডস নামক খেচরদের মস্তিষ্কের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, এই ধরনের পাখিরা উড়তে উড়তেও ঘুমাতে পারে। কখনও তাদের ব্রেনের একটি অংশ সজাগ ও একটি ঘুমন্ত থাকে, অথবা দুটি অংশই ঘুমন্ত অবস্থায় থেকেও তারা উড়তে পারে বিনা বাধায়। [আপনার শিশুও বিছানা ভেজাবে যদি ছোটবেলায় এই অভ্যাস আপনার থাকে!]
পাখিরা ডাঙ্গার পাশাপাশি আকাশে উড়তে উড়তেও ঘুমায়। যেমন অনেকেই জানেন, সুইফ্ট, সংবার্ডস, স্যান্ডপাইপার্স ও সিবার্ডসরা টানা কয়েকদিন, কয়েক সপ্তাহ এমনকী মাসের পর মাস ধরে একটানা উড়ে বেড়ায় ও সারা পৃথিবী ঘুরতে থাকে। [আপনি মদ্যপানে আসক্ত কিনা তা বাতলে দেবে স্যোশাল মিডিয়া]
বিজ্ঞানীদের দাবি, না ঘুমিয়েও কীভাবে বেঁচে থাকতে হয় এই ধরনের পাখিরা তা রপ্ত করে ফেলেছে। কারণ তাদের এক জায়গায় বসে ঘুমানোর প্রয়োজনই হয় না। উড়ে বেড়াতে বেড়াতেই তারা নিশ্চিন্তে আকাশে ডানা মেলে ঘুমাতে পারে বিনা বাধায়। [সমকামী যৌনতা উপভোগ করে মেয়ে গোরিলারাও!]
কীভাবে পাখিরা এমন অসম্ভব কাজ করতে পারে সেটাই খুঁজে বের করেছেন গবেষকরা। তারা দেখেছেন, এমন করার সময়ে মস্তিষ্কের একটা অংশ সজাগ রাখে খেচররা। বাকী অংশটি ঘুমিয়ে থাকে। যে অংশ সজাগ থাকে, সেই দিকের চোখও খোলা থাকে। ফলে সহজেই বাধা এড়িয়ে উড়তে পারে তারা। প্রয়োজন পড়লে তা পাল্টেও নিতে পারে পাখিরা।
উড়তে উড়তে পাখিরা কীভাবে ঘুমায় তা জানতে খেচরদের মস্তিষ্কের অ্যাক্টিভিটি জরিপ করেন গবেষকরা। তাতে দুই ধরনের ঘুমের ধরন উঠে এসেছে। একটি হল 'স্লো ওয়ভ স্লিপ' ও অন্যটি হল 'র্যাপিড আই মুভমেন্ট'। অনন্য এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল নেচার কমিউনিকেশনসে।