For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

ভূয়া খবরের খপ্পরে বাংলাদেশের অনলাইন ব্যবহারকারীরা

বাংলাদেশে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভুয়া খবর কিংবা গুজব ছড়িয়ে দেয়ার প্রবণতা বাড়ছে।

  • By আকবর হোসেন - বিবিসি বাংলা, ঢাকা

ফেক নিউজ সাইটগুলোতে ধর্মীয় উস্কানি, ব্যক্তি-বিদ্বেষ এবং রাজনৈতিক বিষোদগারই থাকে বেশি।
AFP
ফেক নিউজ সাইটগুলোতে ধর্মীয় উস্কানি, ব্যক্তি-বিদ্বেষ এবং রাজনৈতিক বিষোদগারই থাকে বেশি।

অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভুয়া খবর কিংবা গুজব ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

বাংলাদেশেও এ ধরণের প্রবণতা বাড়ছে। মূলত, বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যম এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে এসব ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেবার প্রবণতা বাড়ছে।

সংবাদমাধ্যমের লোগো এবং নাম হুবহু নকল করে যেসব ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে সেখানে ধর্মীয় উস্কানি, ব্যক্তি-বিদ্বেষ এবং রাজনৈতিক বিষোদগার থাকে বেশি।

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুকের মাধ্যমেও এ ধরনের বিষয় ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

এনটিভি অনলাইনের প্রধান ফখরুদ্দিন জুয়েল বলছিলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় একশ'র মতো ভুয়া অ্যাকাউন্ট আছে ফেসবুকে।

বিভিন্ন সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়টি জানানো হলেও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি বলে মন্তব্য করেন মি. জুয়েল।

"এ ধরনের পেইজের মাধ্যমে যদি কোন ধরনের ফেক নিউজ (ভুয়া খবর) ছড়ানো হয়, সেটা মানুষ মনে করে যে এনটিভি ছড়াচ্ছে। এনটিভি'র প্রতি মানুষের একটি ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে," বলছিলেন মি. জুয়েল।

শুধু সংবাদ মাধ্যম নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংসদ সদস্যদের নামে ফেসবুকে ভুয়া পেজ আছে বলে খবর বেরিয়েছে।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলার নাম ও লোগো ব্যবহার করেও ভুয়া খবর ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।

বি. এম. মইনুল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের শিক্ষক।
BBC
বি. এম. মইনুল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের শিক্ষক।

আরো দেখুন:

বিচিত্র যেসব উপায়ে সোনা পাচার হয় ভারতে

কাতার সংকট: আল জাজিরা কি টিকে থাকতে পারবে?

গরুতে নিষেধাজ্ঞা চায় না উত্তর-পূর্বের বিজেপি নেতারাই

শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের বিরুদ্ধে তার লন্ডন প্রবাসী মেয়ের কাল্পনিক সাক্ষাৎকার ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়েছে। যদিও এই খবরের সাথে বিবিসি'র কোন সম্পর্ক নেই।

তথ্য প্রযুক্তিবিদরা মনে করেন, যেসব অনলাইন পেজ থেকে ভুয়া খবর ছড়ানো হয় সেগুলো খুঁজে বের করা কঠিন কোন কাজ নয়।

তবে ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধে অনলাইন ব্যবহারকারীদের সচেতন হওয়া দরকার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের শিক্ষক বি. এম. মইনুল হোসেন মনে করেন, অনলাইন ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশের মধ্যে ভুয়া খবর চিহ্নিত করার মতো সচেতনতা, দক্ষতা কিংবা সময় নেই।

মি. হোসেন বলেন,"আপনার ওয়েব সাইটের নাম হচ্ছে বিবিসি বাংলা ডটকম। কেউ যদি বিবিসি বাংলাদেশ ডটকম নামে আরেকটি সাইট খোলে তাহলে কী হবে? যারা এ পার্থক্য বুঝতে পারেনা তারা সে ভুয়া খবর পড়ে সেটি বিশ্বাস করেন, সে অনুযায়ী রিঅ্যাক্ট করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেটি দ্রুত ছড়িয়ে যায়। শিক্ষিত মানুষজনও অনেক সময় সে ট্র্যাপে (ফাঁদে) পা দিয়ে দেন।"

অনলাইন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়ানোর বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ গত বছর এক লেখায় বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

মি. ওয়াজেদ জানিয়েছেন, সহিংস ঘটনায় উস্কানি দেয়া এবং বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য ৩৫ টি ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বৃহস্পতিবার সংসদে জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে ৩৩০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধের জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে ১১৭টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা বিটিআরসি বলছে, তাদের কাছে কোন অভিযোগ এলে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেয়া হয়।

English summary
Bangladeshi online users trapped in fake news racket
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X