"তিস্তার জলই চাই বাংলাদেশের" মমতার প্রস্তাব খারিজ শেখ হাসিনার
মমতার প্রস্তাব খারিজ করে হাসিনা জানিয়েছেন তিস্তার জলই চায় বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দিদিমণি কি করবে আমি জানি না। চাইলাম জল, দিদি দিলেন বিদ্যুৎ।
নয়াদিল্লি, ১১ এপ্রিল : ভারত সফর সফল হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরও সুদৃঢ় ভিত্তির উপরে দাঁড় করানো গিয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। গ্বিপাক্ষিক নানা চুক্তির মউ সাক্ষরিত হয়েছে। একে অপরের পাশে সর্বক্ষেত্রে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই।
কী এই 'তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি' যা নিয়ে এত বিতর্ক? জেনে নিন বিস্তারিত
তবে তিস্তা বিতর্ক যেমন সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন, সেরকমই রেখে যেতে হচ্ছে শেখ হাসিনাকে। তিনি আশা করেছিলেন এবার এসে অন্তত তিস্তা চুক্তি সই করে তবেই ফিরবেন। তবে বাধ সেঁধেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিস্তার জল পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে পারবে না। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বদলে তোর্সা সহ কয়েকটি ছোট নদীর জল দুই দেশ ভাগাভাগি করে নিতে পারে কিনা সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি করে রিপোর্ট তলব করার পক্ষে সওয়াল করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আর এর সরাসরি বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মমতার প্রস্তাব খারিজ করে হাসিনা জানিয়েছেন তিস্তার জলই চায় বাংলাদেশ। ভারতে এসে এক অনুষ্ঠানে জল ভাগাভাগির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিস্তার জলবণ্টন সমস্যা দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এমনটা হলে দুদেশের সম্পর্ক অন্য উচ্চতায় পৌঁছবে বলেও হাসিনা আশাপ্রকাশ করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দিদিমণি কি করবে আমি জানি না। চাইলাম জল, দিদি দিলেন বিদ্যুৎ (বাংলাদেশকে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা)। ফলে নরেন্দ্র মোদীর উপরেই আপাতত ভরসা করতে হচ্ছে হাসিনাকে।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মোট ৫৪টি ছোট-বড় নদী ভাগাভাগি হয়েছে। সূত্রের খবর, তিস্তা নিয়ে চুক্তি না হলে বাকী কোনওটা নিয়েই ভাগাভাগিতে আগ্রহী নয় বাংলাদেশ।