নরেন্দ্র মোদীর স্বপক্ষ্যে কথা বলায় বালোচিস্তানে পানীয় জলে বিষ মেশাল পাকিস্তান সরকার!
কোয়েট্টা, ৩১ অগাস্ট : ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের বালোচিস্তানের অধিবাসীদের সমর্থনে বক্তব্য রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে বালোচ নেতারাও ভারতের সমর্থনে তথা পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। আর তাতেই বিতর্ক উসকে ওঠে।
পাকিস্তান সরকারের তরফে এহেন আচরণের জন্য বালোচ অধিবাসীদের উপরে নির্মম অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, বালোচিস্তানের অধিবাসীদের ভারতপ্রীতি দেখে প্রতিশোধের রাস্তায় হেঁটেছে পাক সরকার। সেখানকার নেতা ও স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে কড়া সেনা অভিযান চালানো হচ্ছে।
বালোচ নেতৃত্বের অভিযোগ, পাকিস্তানি সেনা নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে তাদের উপরে। কেন ভারতের সমর্থনে মুখ খুলেছেন সেখানকার অধিবাসীরা, সেজন্য সেখানে পানীয় জলে নানা ধরনের রাসায়নিক, বিষ ইত্যাদি মিশিয়ে দিয়ে অধিবাসীদের শিক্ষা দিতে চাইছে পাক সরকার।
আর এই অত্যাচার একেবারে শীর্ষে পৌঁছেছে নরেন্দ্র মোদী ভারতের স্বাধীনতা দিবসে বালোচিস্তানের অধিবাসীদের পক্ষ্যে কথা বলার পরই। বালোচ নেতাদের অভিযোগ, তাঁদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যই এসব কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে কিছু বালোচ নেতাদের শিক্ষা দিতে তাদের চোখ উপরে ফেলা হয়েছে।
গত দু'সপ্তাহে বালোচিস্তানে ডেরা বুগতি জেলাতেই প্রায় ৫০ জনের বেশি মানুষকে নির্বিচারে মেরে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি বালোচ নেতাদের। এছাড়া ১৫০ জনের বেশি মানুষকে অপহরণ করা হয়েছে। তারা বেঁচে রয়েছে নাকি মারা গিয়েছে, সেই সম্পর্কিত কোন তথ্যই কারও কাছে নেই। বালোচিস্তানের অন্তর্গত কাচ্চি বোলান, কোয়েট্টা, ডেরা বুগতি, মাস্তাঙ্গ, আওয়ারনের মতো জায়গা থেকে ধরে ধরে অপহরণ করে মানুষদের গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি বালোচ নেতাদের।
এলাকার মহিলারা জানাচ্ছেন, বাড়ির পুরুষ সদস্যদের জোর করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি সেনা। তারপর আর তাদের খোঁজ মিলছে না। বালোচিস্তানে মানবাধিকার বিপন্ন বলে দাবি করে, এই ইস্যুতে অবিলম্বে জাতি সংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।