(ছবি) এ এক অন্য 'ড্র্যাকুলা', গল্প নয় সত্যি!
এক 'ড্রাকুলা' যে রক্ত খায়, কফিনে শোয়, কিন্তু তবুও মানুষের মতো বাঁচতে চায়, মানুষের কাছে থাকতে চায়। এই গল্প আয়ারল্যান্ডের সেই ২৫ বছরের ছেলেটির। [শশশশশ! ওরা আসে আঁধারে, তাই সূর্যাস্তের পর ঢুকতে মানা ভানগড়ে]
নাম ডার্কনেস ভ্ল্যাড টেপেস। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ড্রাকুলার গল্পে অনুপ্রাণিত হন টেপেস। তারপরই নিজের জীবনযাত্রায় সম্পূর্ণ বদল আনেন তিনি। নামও পাল্টে রাখেন ডেড পোল। [(Video) গীর্জায় চোখ খুললেন 'যীশু খ্রীষ্ট', কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভূত বিশারদরা!]
শুধু নাম পাল্টানো নয়, চোখে কাজল পরা, পরনে সবসময় কালো পোশাক এসব তো আছেই, পাশাপাশি নিজের জন্য একটি ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা কফিনও তৈরি করিয়েছেন টেপেস। এই কফিনেই রোজ ঘুমোন তিনি। এখানেই শেষ নয়, খাওয়াদাওয়াতেও আমুল পরিবর্তন আসে তার। ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেন। সঙ্গে পানীয় বলতে গরু ও শুয়োরের রক্ত। [(ছবি) বিশ্বের অন্যতম সেরা ১০টি গা ছমছমে জায়গা]
টেপেসের কথায়, তাঁর বেশভূষা দেখে অনেকেই তার মজা ওড়াতেন। বারবার কৌতুকের পাত্র হতে হতো তাকে। একদিন বন্ধুদের সঙ্গে পাবে গিয়েছিলেন তিনি, সেখানে নাকি একদল যুবক তাকে প্রচন্ডভাবে হেনস্থা করে। ছেলেবেলায় যৌনশোষণের কারণেই তাঁকে এরকম দেখতে কি না তাও তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। তাতে প্রচন্ড ভেঙে পড়েন টেপেস। এরপর থেকেই নিজেকে প্রায় গৃহবন্দি করে ফেলেন টেপেস। [রাতের আঁধারে ঘোরে ওটা কে, জানতে তৎপরতা পুলিশের]
টেপেসের আক্ষেপ, "মানুষকে বুঝতে হবে যা তাদের কাছে স্বাভাবিক তা আমাদের কাছে নয়, আবার আমাদের কাছে যা স্বাভাবিক তা ওদের কাছে অস্বাভাবিক মনে হবে।"
টেপসের অনুরোধ, সিনেমা দেখে ড্র্যাকুলা সম্পর্কে আগে থেকে কোনও ধারণা তৈরি করে নেবেন না। সাধারণত মানুষেরা মনে করে, ড্র্যাকুলা কখনও সূর্যের আলোয় বেরতে পারে না, রসুন অস্বস্তি তৈরি করে। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমার ক্ষেত্রে কোনওটাই হয় না। আমি সূর্যের আলোয় দিব্যি হাঁটতে পারে, হাতে রসুন চেপে ধরতে পারি। [(ছবি) মৃত্যুর পর ঠিক কী হয়? আপনি কি জানেন?]
নিজের এই জীবন নিয়ে একেবারেই দুঃখিত নন টেপেস। শুধু একটাই আক্ষেপ, সে রক্ত খায় আর কফিনে শোয় বলে মানুষ কেন তাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারবে না।
{gallery-feature_1}