ঢাকা সন্ত্রাস: মাদ্রাসা নয়, ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র ছিল 'আততায়ীরা', পরিবারও বিত্তশালী
ঢাকা, ৪ জুলাই : ঢাকার গুলশন রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় আইএসআইএস যে ৫ জন হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে ৩ জনকে এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা গিয়েছে। আর এই ৩ আততায়ীর শনাক্তের পরই চোরা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে।
তিন আততায়ীর নাম নিবরাস ইসলাম, মীর সামিহ মুবাসির এবং রোহন ইমতিয়াজ। তিনজনেই স্কুলের ছাত্র, স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য।
নিবরাসকে তাঁর প্রাক্তন সহপাঠী শনাক্ত করতে পেরেছে। নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে নিবরাস। এখানকার টিউশন ফি আকাশছোঁয়া। ইন্টারন্যাশনাল টাজ্ঞকিশ হোপ স্কুলে পড়াশোনা করেছেন নিবরাস, যেখানে পড়ার সামার্থ বাংলাদেশের স্বচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েদেরও হয় না।
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সার্ভিসের মালয়েশিয়া ক্যাম্পের কোষাধ্যক্ষও ছিল নিবরাস। মালয়শিয়া থেকে ফিরে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নাম লেখায় সে। কারণ হিসাবে সে জানিয়েছিল, মোনাস তার পছন্দ নয়, সে ফুটবল খেলতে চায়।
নিবরাসের বাবা বাংলাদেশের বিত্তবান শিল্পপতি। নিবরাসের তিন কাকার মধ্যে একজন সরকারের ডেপুটি সচিব পদে রয়েছেন, একজন পুলিশ আধিকারিক এবং আর এক জন বিজ্ঞানী।
অন্য দুজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জঙ্গিহানার আগেই তারা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় সংবাদসূত্রের খবর, মুবাসির গত ৪ মাস ধরেই নিখোঁজ ছিল। মুবাসিরের বাবা বাংলাদেশে অ্যালকাটেল লিউসেন্টের এক্সিকিউটিভ। মা সরকারি কলেজের অধ্যাপিকা। ভাই টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া।
অন্যদিকে রোহন ইমতিয়াজ। এই যুবক ইমতিয়াজ খান বাবুলের ছেলে। এই ইমতিয়াজ খান আবার আওয়ামী লিগের নেতা। তিনি গতবছর ঢাকার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লিগের মনোনয়ন করা কাউন্সিলর ছিলেন। মা শিক্ষিকা।
২০ বছরের রোহন স্কলাস্টিকা থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করার পর বিআরএসি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন রোহন।
এসআইটিই মৃত জঙ্গিদের ছবির যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা দেখার পর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে প্রত্যেকেই আততায়ী হিসাবে পুলিশের রেকর্ডে ছিল। পুলিশ এদের শনাক্ত করেথে, আকাশ, বিকাশ, ডন, বন্ধন এবং রিপন নামে।
আইএসআইএস বাংলাদেশ হামলার দায় স্বীকার করলেও গুলশনের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো পাঁচ জঙ্গি বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের সদস্য বলেই দাবি বাংলাদেশ সরকারের।