লক্ষ্য দাউদ ইব্রাহিমের মত গ্যাংস্টার হওয়া, শ্রীঘরে ঠাঁই যুবকের
দাউদ ইব্রাহিমের মত গ্যাংস্টার হতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ঘনিষ্ঠ যুবক। পরিকল্পনা ছিল ছোটা রাজনকে খুন করার, জেরায় জানাল যুবক। টার্গেট কানাডার লেখকও।
ছোটা রাজনকে খুন করে দাউদ ইব্রাহিমের মত গ্যাংস্টার হতে গিয়ে শ্রীঘরে ঠাঁই হল দিল্লির এক বছর একুশের যুবকের। জুনেদ চৌধুরী নামে ওই যুবক গ্যাংস্টার ছোটা শাকিলের হয়ে কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লির ওয়াজিরাবাদ থেকে জুনেদ- সহ ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে একটি পিস্তল ও চার রাউন্ড কার্তুজ।
তার
পরিকল্পনা
রীতিমত
তাক
লাগিয়ে
দিয়েছে
দিল্লি
পুলিশকেও।
জুনেদকে
জেরা
করে
জানা
গিয়েছে,
পাকিস্তানী
বংশোদ্ভূত
কানাডার
লেখক
তারিক
ফতেকে
খুন
করার
ছক
কষেছিল
সে।
খুন
করার
পর
ধরা
পড়লে
তিহাড়
জেলে
পাঠানো
হবে
তাকে।
সেখানেই
দাউদের
একসময়ের
ডান
হাত
ও
বর্তমানে
প্রধান
শত্রু
ছোটা
রাজনকে
খুন
করার
ফন্দি
এঁটেছিল
জুনেদ।
কিন্তু লেখক তারিক ফতেকেই কেন খুন করতে চেয়েছিল জুনেদ। এই প্রশ্নের উত্তরে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারিক ফতের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বেশ কিছু লেখার ফলেই তাঁকে টার্গেট করেছিল জুনেদ। তারিককে খুন করার আগে দিল্লিতে রেকি করতে সে এসেছিল বলে জানিয়েছে ধৃত যুবক। এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই সে দেড় লক্ষ টাকা অগ্রিম পেয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অবশ্য গ্রেফতার হওয়ার পরও বিশেষ হেলদোল নেই জুনেদের। ছাড়া পেলে নিজের কাজ সে চালিয়ে যাবে বলে পুলিশকে জানিয়েছে সে।
দিল্লির গোকুলপুরি এলাকার এক দুধ বিক্রেতার ছেলে জুনেদ গত বছরও একবার গ্রেফতার হয়েছিল। হাওয়ালার মাধ্য়মে ছোটা শাকিলের টাকা ও আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও মাত্র চার মাসের মধ্য়েই জামিন পায় সে। কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পরই ফের কাজে নামে জুনেদ। পুলিশ সূত্রে খবর, ছোটা রাজনকে খুন করতে জুনেদকে কাজে নামায় ছোটা শাকিল। পরে জুনেদ আরও কয়েকজনকে দলে টানে। ছোটা রাজনকে খুন করতে মোট ১০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয় জুনেদকে। গোপন সূত্রে এই খবর পাওয়ার পরই চারটি টেলিফোন লাইনে আড়ি পাতে পুলিশ। এই টেলিফোনগুলির মাধ্যমেই ছোটা শাকিলের সঙ্গে জুনেদ নিয়মিত যোগাযোগ রাখত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তারপরই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।