সাবধান : ফেসবুকে আপনার প্রতিটি পোস্টে নজর রয়েছে আইএস জঙ্গিদের!
নয়াদিল্লি, ২২ জানুয়ারি : স্যোশাল নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকই যে সবার চেয়ে শতযোজন এগিয়ে রয়েছে তা নিয়ে তর্ক করার প্রয়োজন নেই। তবে জানেন কি এই ফেসবুকের মাধ্যমে সহজেই আপনার নাগাল পেয়ে যেতে পারে আইএসআইএস জঙ্গিরা! [ফেসবুকে প্রতারিত হচ্ছেন তা বোঝার সহজ উপায়]
হরিদ্বারে অর্ধ কুম্ভ মেলায় ও দিল্লিতে নানা জায়গায় হামলার ছক কষার দায়ে চারজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেশের কোন কোন প্রান্তে হামলার ছক কষছিল এই আইএস প্রভাবিতরা, সেই নিয়েই আপাতত তদন্ত চলছে। [প্রজাতন্ত্র দিবসে আইএস হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা গোটা দেশ জুড়ে]
কিন্তু কীভাবে এদের নাগাল পেল পুলিশ? পিছনে কিন্তু ফেসবুকের কথাই তুলে ধরেছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, ধৃতদের একজন আখলাক-উর-রহমান ২০১৪ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে ফেসবুকে একটি মন্তব্য করে। ['দাড়ি কামাও, পশ্চিমি পোশাক পরো', হবু-সন্ত্রাসীদের 'টিপস' আইএসআইএসের!]
সেই বছর ছিল বাবরি ধ্বংসের ২২ তম বছর পূর্তি। ঠিক তারপরের দিনই রুরকির পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আখলাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইউসুফ হিন্দি নামে এক ব্যক্তি। নিজেকে ইসলাম ধর্মের প্রচারক বলে দাবি করে ফেসবুকেই আলাপ জমায় সে। [বাঙালি ছেলে সিদ্ধার্থ ধর এখন আইএস জঙ্গি!]
আখলাককে ফেসবুকেই নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা শুরু হয়। মুসলমানদের বিরুদ্ধে অত্যাচারে আখলাকের আক্রোশকে 'সঠিক পথে' চালনার জন্য প্রভাবিত করতে থাকে ইউসুফ নামে ওই ব্যক্তি। যে কিনা আইএসের কর্মী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। [এই কয়েক ধরনের বন্ধুকে এখুনি ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে 'আনফ্রেন্ড' করুন!]
আখলাককে জেরায় জানা গিয়েছে, এভাবেই ছলে-কৌশলে দেশ ছাড়াও নানা বিশ্বজনীন সমস্যা নিয়ে আখলাকের মতামত নিয়ে তাকে ধীরে ধীরে আইএসের পথে ঠেলা শুরু হয়। মুসলমানদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের বদলে কী করা যেতে পারে সেটাও আখলাককে জিজ্ঞাসা করা হয়। এবং কী করা যেতে পারে সেটাও আলোচনা হয়। [ফেসবুকের এই লুকানো বৈশিষ্ট্যগুলি নিশ্চিত আপনার অজানা]
এভাবেই ফেসবুকের মাধ্যমে নজর রেখে ভারতে নিজেদের শিকার ধরার খেলায় নেমেছে আইএস জঙ্গিরা। তাই সাবধান। ফেসবুকে সামান্য কোনও কমেন্টও আইএসের সফ্ট টার্গেট করতে পারে যেকাউকে। [ফেসবুকে লুকোনো ফ্রেন্ডলিস্ট দেখার উপায়]